ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

শেয়ারবাজার কারসাজি তদন্তে ফের সাকিবের নাম

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ২০:০০

শেয়ারবাজার কারসাজি তদন্তে ফের সাকিবের নাম
সাকিব আল হাসান । ছবি: সংগৃহীত

মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে বরাবরই আলোচনায় থাকেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটার পরিচয় ছাপিয়ে ব্যবসায়ী সাকিবও আলোচিত, তবে সেটা নেতিবাচক চরিত্রে। শেয়ারবাজার কারসাজির তদন্তে ফের নাম জড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির তদন্ত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত প্রতিবেদনে রয়েছে সাকিবের নাম। তবে টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএসইসি।

এই চক্রের মূল হোতা আবুল খায়ের। শেয়ারবাজারে যিনি হিরু নামে পরিচিত। শেয়ার কারসাজির যে কয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে সাকিবের নাম জড়িয়েছে তার সবগুলোতেই রয়েছে আবুল খায়ের হিরু এবং হিরুর বাবা, বোন ও স্ত্রীর নাম।

সবশেষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি নিয়ে বিএসইসির করা তদন্তে উঠে এসেছে সাকির নাম। কারসাজির মাধ্যমে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়ার অপরাধে আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। এছাড়া সাইফ উল্লাহকে ৫০ লাখ, এজি মাহমুদ ১৫ লাখ এবং ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান ও তার সহযোগীরা সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। এতে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়ে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এভাবে দাম বাড়িয়ে আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান ও তার সহযোগীরা এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বিক্রি করে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ৩০৩ টাকা মুনাফা তুলে নেন। এছাড়া তাদের কাছে থাকা শেয়ারে আরও ৫৬ লাখ ৭ হাজার ৯৬৩ টাকা মুনাফা রয়েছে।

আইন লঙ্ঘন করে শেয়ার লেনদেন করার প্রমাণ পাওয়ায় বিএসইসি আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। তবে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এদিকে সম্প্রতি আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ফরচুন সুজ, বিডিকম অনলাইন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির বিষয়ে করা তদন্ত প্রতিবেদনেও সাকিব আল হাসানের নাম জড়ায়।

বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আবুল খায়ের ও তার সহযোগীরা সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ারের দাম বাড়ান। গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ারের দাম বাড়ানো হয় ৬০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৪ টাকা থেকে বেড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ার বিক্রির তালিকায় রয়েছেন সাকিব। এই ক্রিকেটার ইবিএল সিকিউরিটিজে থাকা তার বিও হিসাবের মাধ্যমে ১১ লাখ শেয়ার কিনে ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৩টি শেয়ার বিক্রি করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত