ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২১ উদ্বোধন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৫৬

সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২১ উদ্বোধন

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বাস্তবধর্মী ৬টি সমস্যার সমাধানের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২১ উদ্বোধন হয়েছে।

শনিবার তথ্য প্রযুক্তিবিদদের সংগঠন সিটিও ফোরামের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সপতিত্বে প্রধান অতিথি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব জিয়াউল আলম পিএএ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর শিকদার, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আই সিটি ডিভিশনের এস্পায়ার টু ইনোভেট প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব জনাব আব্দুল মান্নান, জাপানের নাড়া ইনফরমেশন সিকিউরিটির প্রফেসর ডঃ ইউকি কাদোবায়াসি এবং টাইটেল স্পন্সর ফেয়ার গ্রুপ হুন্দাই এর চেয়ারম্যান রুহুল আল মাহবুব।

১ লা আগস্টে শুরু হওয়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যে কোন বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট ctoforumbd.org থেকে নিবন্ধন করতে পারবে। সিটিও ফোরাম এর সাথে এই আয়োজনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের দুইটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি এবং এস্প্যায়ার টু ইনোভেট বা এটুআই।

সিটিও ফোরাম ইনোভেশান হ্যাকাথন এর আহ্বায়ক ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্ট্মেন্ট এর প্রধান সৈয়দ আখতার হোসেন একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে হ্যাকাথনের বিস্তারিত বর্ননা করেন। খুদা মুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুনগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলোজি, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশান এমন ৬টি চ্যালেঞ্জ ও ৩টি সাব চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু হওয়া জাতীয় পর্যায়ের ভার্চুয়াল ইনোভেশন হ্যাকাথন।

তিন রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। ১০,১১ এবং ১২ই সেপ্টেম্বর ধারণা উপস্থাপনের পর ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে উদ্ভাবনার প্রোটোটাইপ। আগামী ২রা অক্টবর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করা হবে সেরা উদ্ভাবন। অংশগ্রহণকারি ১ম বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১লক্ষ টাকার আর্থিক পুরষ্কার ও ২য় বিজয়ীদের ৭৫ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার ৩য় বিজয়ীদের জন্য ৫০ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার ও অন্যান্য বিজয়ীদের জন্য থাকছে কম্পিউটিং গ্যাজেট। একই সাথে দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ। ট্রান্সফরমেশন, এম্পাওয়ারমেন্ট, ইমপ্লয়মেন্ট স্লোগানে শুরু হওয়া এ ভার্চুয়াল হ্যাকাথনের উদ্বোধনী আয়োজনের সভাপতির বক্তব্যে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বাংলাদেশ গোল্ডেন ডিভিডেন্ট যুগে রয়েছে মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, এই তরুণদের কে যদি সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের এই সকল ইনোভেটিভ আইডিয়া কে সঠিক নার্সিং করা যায় তবেই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাই দেরি না করে নিজেদের আইডিয়া গুলোকে সামনে নিয়ে আসতে এবং এসকল আইডিয়ার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করার জন্য বলেন।

তিনি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি এবং এস্প্যায়ার টু ইনোভেট এটুআই সরকারের এই দুই প্রতিষ্ঠানকে আয়োজনের অংশীদার হওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেই সাথে মিডিয়া পার্টনার ভোরের কাগজ ও একাত্তর টিভি কে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব ডঃ বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ডিজিটাল হাবে পরিনত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথন একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে, তিনি ইনোভেশন হ্যাকাথনের পার্টনার হিসেবে হাইটেক পার্ক থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের কথা বলেন।

এস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক জনাব আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যে সরকারের প্রায় ২ হাজারেরও অধিক সকল সেবা গুলোকে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে ইনোভেশান প্রক্রিয়ার আবশ্যিকতা তুলে ধরেন এবং সেই কারনে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর সাথে বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রকল্পের এর যোগবন্ধনের গুরুত্ব প্রকাশ করেন।

জাপানের নারা ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি এর প্রফেসর ইউকি কাদোবায়াশি তার বক্তব্যে খুবই আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। হ্যাকাথনের টাইটেল স্পন্সর ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আল মাহবুব দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ ও মেধাবী তরুণদের তৈরি করতে এই হ্যাকাথনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথি বিটিআরসি চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর শিকদার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেই সাথে ভবিষ্যতে সিটিও ফোরামের এসকল আয়োজনে বিটিআরসি এর সংযুক্ত থাকার কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আই সি টি বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার আই সি টি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এর দিক নির্দেশনায়, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যার এর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি সফল, আধুনিক এবং ইনোভেটিভ কান্ট্রি তে রপান্তর করতে আইসিটি ডিভিশন নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সেই কর্মযজ্ঞে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর এই আয়োজন অন্যতম সংযোজন। তিনি সকল তরুণকে আহ্বান করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এবং নিজের উদ্ভাবনী আইডিয়া গুলোর সঠিক প্রয়োগে উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনে অংশ গ্রহণ করেতে এবং সঠিক ভাবে হ্যাকাথন থেকে প্রাপ্ত সমাধান গুলোকে নার্সিং করার জন্য আইসিটি ডিভিশন থেকে সকল সহায়তার আশ্বাস দেন।

ইনোভেশন হ্যাকাথনের সহযোগী এস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আরফে এলাহী মানিক সমাপনি বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানান। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জুমের মাধ্যমে সিটিও ফোরামের কার্যনীর্বাহি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন এবং হ্যাকাথনের রেজিস্ট্রেশান করা টিম অংশগ্রহণ করেন। সিটিও ফোরামের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে ভার্চুয়াল সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত