ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষকদের অভিযোগে টালমাটাল মাউশি

  আসিফ কাজল

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২১, ১৮:৪০

শিক্ষকদের অভিযোগে টালমাটাল মাউশি
শিক্ষা ভবন। ছবি নিজস্ব

খুলনার একটি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন এমন অভিযোগ করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি)। এ পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিলো মাউশি। তদন্তে স্কুল কলেজ ও শিক্ষাবোর্ডের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ওই শিক্ষকের সনদে কোনো সমস্যা ছিলো না।

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের নামে এমনই অভিযোগের পাহাড় জমেছে শিক্ষা ভবনে। অধিদপ্তরটির কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে দেখা যায় অধিকাংশই মিথ্যা। ফলে কর্মকর্তাদের শুধু ঘামই ঝরছে না নষ্ট হচ্ছে সরকারি কর্মঘণ্টাও।

এ বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, যেভাবে অভিযোগ আসছে এতে করে অভিযোগকারীদের শনাক্তও করা যাচ্ছে না। কারণ অধিকাংশ অভিযোগ আসে ডাকযোগে। সেখানে নাম কিংবা মোবাইল নম্বরও দেন না অভিযোগকারীরা।

সূত্র জানায়, মাউশিতে মামলার সংখ্যা ১০ হাজার। যার মধ্যে ৮০ ভাগ এমপিও সংক্রান্ত। এছাড়াও পদোন্নতি, জনবল কাঠামো চ্যালেঞ্জ, সাময়িক বহিষ্কার, নিয়োগ সংক্রান্ত এমনকি কর্মকর্তার স্ত্রী নির্যাতনের মামলাও রয়েছে। এসব সমস্যার কারণে অধিদপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সংগঠনের নেতা ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযোগের বিষয়টি আগেও ছিলো। আর এখন ব্যক্তি রোষানল থেকে এগুলো বেশি হচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষক আরেকজন শিক্ষককে ইঙ্গিত করে বিভিন্নভাবে দুষছেন। এমন ঘটনায় বিদ্বেষের বশে নামে বেনামে অনেকেই অধিদপ্তরে অভিযোগ করছে।

মাউশির কর্মকর্তারা জানান, কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চান তবে তাকেও নাম ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিয়ে অভিযোগ করতে হবে। এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ চলছে।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (বিদ্যালয়) মো. বেলাল হোসাইন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিধি অনুযায়ী কাজ করে মাউশি। আমাদের এখানে যে অভিযোগই আসে আমরা সেটি এড্রেস করি। নিয়ম মাফিকভাবে তদন্ত শেষে ব্যবস্থাও নেয়া হয়।’

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত