ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫০ মিনিট আগে
শিরোনাম

এনটিআরসিএকে ফলাফলের অসঙ্গতি দূর করার দাবি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২১, ২১:১৮

এনটিআরসিএকে ফলাফলের অসঙ্গতি দূর করার দাবি
ফাইল ফটো

৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফলে যেসব অসঙ্গতি বা অভিযোগ উঠেছে সেগুলো আমলে নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছে গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশ প্রাপ্ত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও চূড়ান্ত সুপারিশ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন এবং পরবর্তী নিয়োগ কার্যক্ৰমে যেন সংরক্ষিত পদ ও ইনডেক্স মুক্ত হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য এনটিআরসিএ-এর কাছে দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তিতে যেন ৩৫ বছর বয়সী প্রার্থীদের যেন প্রাধান্য দেয়া হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল গত ১৫ জুলাই রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

তবে ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এবং ননএমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।

আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফলাফল দেয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে ১৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়োগ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এত দিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত