শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৩১
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি সরকারকে দ্রুত মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ এবং চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
এসময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কেন হামলা হলো শাবিপ্রবিতে? তারা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছে সেজন্য? একজন শিক্ষার্থীর যদি কিছু হয় তাহলে ছাত্র আন্দোলন কি হতে পারে বুঝতে পারছেন না। পঁচা শামুকে পা কাটবেন না। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন, পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করবেন না।’
একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলন গত ১০-২০ বছর দেখি। শাবিপ্রবিতে তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিল। শিক্ষার্থীরা ১৪০ ঘণ্টার বেশি সময় অনশন করছে, কিন্তু সেদিকে নজর নেই সরকারের। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে রয়েছি। আমাদের কর্মসূচি চলবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী এবং একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী ব্যক্তি উপাচার্য থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন। অতি দ্রুত তার পদত্যাগ চাই।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমরা এখানে এসেছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের পেটালো। উপাচার্যের ইন্ধনে পুলিশও পেটালো। সরকার আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ খুঁজছে। তাহলে তৃতীয় পক্ষ কি পুলিশ, ছাত্রলীগ? তারা ছাত্রদের ওপর আঘাত না করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। শিক্ষার্থীরা জীবন বাজি রেখে অনশন করছে। এখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ না খুঁজে শিক্ষার্থীদের বাঁচান।’
এসময় আরও বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আলী রেজা প্রমুখ।
এছাড়াও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর, শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনসহ অন্যান্য বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ জার্নাল/পিএল
