ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুবিতে অযত্নে নষ্ট হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক স্তম্ভ

  নাঈমুর রহমান রিজভী, কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২২, ০৮:৫১

কুবিতে অযত্নে নষ্ট হচ্ছে  প্রত্নতাত্ত্বিক স্তম্ভ
ছবি- প্রতিনিধি

অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে পুকুর খনন করার সময় প্রাপ্ত প্রাচীন কাঠের স্তম্ভ। যা উদ্ধার করেছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হান।

জানা যায়, প্রায় ১৪ ফুট দীর্ঘ কাঠের স্তম্ভটিতে সুন্দর কারুকার্য রয়েছে। এর কিছু অংশে নীল রঙের আস্তরণ দেখে অনুমান করা হচ্ছে, স্তম্ভটিতে নীল রঙের প্রলেপ ছিল। গত বছরের ১৯ মার্চ কুমিল্লা জেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামে প্রত্ততাত্ত্বিক অনুসন্ধান পরিচালনা করার সময় এলাকাবাসী একটি পুকুর খনন করতে গিয়ে এ স্তম্ভটি নজরে আসে।

পরে এটি উদ্ধার করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বর্তমানে অযত্নে নষ্ট হচ্ছে স্তম্ভটি। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্তম্ভটিকে সংরক্ষণের জন্য পানি দেয়ার কথা থাকলেও ভিতরে পানি নেই। যার ফলে স্তম্ভটির ভিতরে শুকিয়ে গেছে। পাশাপাশি এটি সংরক্ষণ করতে কেমিক্যাল প্রিজারভেশনের প্রয়োজন। তাই স্তম্ভটির সংরক্ষণের জন্য সুষ্ঠু তদারকি এবং বাজেট না থাকায় অযত্নে নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উদ্ধারকারী শিক্ষক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হান বলেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর হলে সেখানে এটাকে প্রদর্শন করা যাবে এবং এর মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাঠের সংরক্ষণ শেখার সুযোগ পাবে। এটি নষ্ট হচ্ছে কারণ এটার দেখভাল করার জন্য লোকবল দরকার, বাজেট দরকার। আমাদের এই প্রকল্পের বাজেট শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা নিজ উদ্যেগে কিছু করতে পারছি না। আমরা এটা পাওয়ার পর প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয় এবং ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান কার্যালয়ে এটা সংরক্ষণ করার জন্য চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। তারা এখনো কেন এটা সংরক্ষণ করেনি আমরা জানিনা।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, আমাদেরকে হেড কোয়ার্টার থেকে জানানোর পর আমরা ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ানকে জানিয়েছি। তারা অতিদ্রুত এটা ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করবে বলে আমাদেরকে অবগত করেছে।

তবে ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান অফিসার হাসিবুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস থেকে আমাদের জানিয়েছে। আমরা এই মাসের মধ্যে স্থাপনাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমি এই বিষয়ে জানতাম না। এখন যেহেতু জানতে পেরেছি আমি এটা বিভাগের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।

তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত