জাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন: সর্বোচ্চ ভোট অধ্যাপক আমির হোসেনের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ভোটে অংশগ্রহণ করা ৭৬ জন সিনেটরের মধ্যে ৪৮ জনের ভোট পেয়ে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক অধ্যাপক আমির হোসেন।

এছাড়া দুই ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয় স্থানে আছেন বর্তমানে সাময়িক উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক নূরুল আলম। ৩২ জন সিনেটরের ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন অজিত কুমার মজুমদার। আর সবচেয়ে কম ভোট (৭টি) পেয়েছেন অধ্যাপক তপন কুমার সাহা।

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, নির্বাচনে প্রথম হয়ে আমি খুবই খুশি এবং এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও ছিলাম। যদি সরকার আমাকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ড গতিশীল করতে চেষ্টা করবো। সততা, জবাবদিহিতা ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কাউকে হয়রানি না করে সকলের আস্থা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবো।

অধ্যাপক আমির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসা প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন। এই প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্য দুই প্রার্থী অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা।

অন্যদিকে, ফলাফলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা অধ্যাপক নূরুল আলম ও অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর একাংশের একটি প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক নূরুল আলম ওই প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন। ওই প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া আরেক প্রার্থী অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের একক এজেন্ডা নিয়ে আজ (শুক্রবার) বিকাল চারটায় বসে সিনেটের অধিবেশন। প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব শেষ হওয়ার পর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা (চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার) ভোটগ্রহণ শুরু করেন। গোপন ব্যালটে কয়েকজন সিনেট সদস্যের ভোট নেয়ার পর বিকেল পাঁচটার দিকে প্রার্থীদের প্রচারণার জন্য এক ঘণ্টার বিরতি দেয়া হয়। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ভোটগণনা। ভোটগণনা শুরু হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যে মিললো ফলাফল।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ জুলাই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের নির্দেশে সিনেট সভার একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এই তিন অধ্যাপকের নাম যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে। সেখান থেকে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে