এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র গায়েব: ২ শিক্ষককে শোকজ
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ২৩:২৫ আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ২৩:৪৪
গাজীপুরের টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার শেষে একটি লিখিত উত্তরপত্রের সন্ধান মিলছে না। এ কেন্দ্রে মোট ৭৮০ জন পরীক্ষা দিলেও পরীক্ষার পর লিখিত উত্তরপত্র পাওয়া গেছে ৭৭৯টি। এ ঘটনায় দুই কক্ষ পরিদর্শককে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তাদের কক্ষ পরিদর্শনের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা এবং টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আলাউদ্দিন মিয়া।
অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার এইচএসসি রসায়ন বিষয়ের দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে পরীক্ষা শেষে ৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫১ জনের লিখিত উত্তরপত্র পাওয়া যায়। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে ঘাটতি হওয়া উত্তরপত্রটি ছিল সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক পরীক্ষার্থীর। তার বাসা টঙ্গীর বগারটেক এলাকায়। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ওই পরীক্ষার্থীকে বাসা থেকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার লিখিত উত্তরপত্রটি পরীক্ষার হলেই কক্ষ পরিদর্শকের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া আরও জানান, ওই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৭৮০ জন। বৃহস্পতিবার লিখিত পরীক্ষা শেষে গণনা করে একটি উত্তরপত্র কম (৭৭৯টি) পাওয়া যায়। তবে যথা নিয়মে কক্ষ পরিদর্শকের কাছে উত্তরপত্র জমা দিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী।
সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী ইমন মিয়া পরীক্ষা শেষে কক্ষ পরিদর্শক মনিরা খানমের কাছে তার উত্তরপত্রটি জমা দিয়েছে। তারপরও উত্তরপত্র না পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। এটির দায় ওই কক্ষের দুই পরিদর্শকেরই নিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা হল ত্যাগের আগেই উত্তরপত্র মিলিয়ে নেয়া উচিৎ ছিল। এটা তাদের এক ধরণের দায়িত্ব অবহেলা।
গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, উত্তরপত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনায় দুই পরিদর্শক আতিউর রহমান ও মনিরা খানমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিষয়ে শিক্ষাবোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তাদেরকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সচিব ও টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়টি শিক্ষাবোর্ডকে অবগত করেছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ