ইবিতে শ্রেণিকক্ষের দাবিতে মানববন্ধন
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১৬

শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
|আরো খবর
শনিবার দুপুরে তালা ঝুলিয়ে ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে একই দাবিতে বেলা ১২টার দিকে ভিসির কাছে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা। স্মারকলিপিতে কক্ষ বরাদ্দ ছাড়াও আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকির অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি জানানো হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি (প্রো-ভিসি) ড. মাহবুবুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমাদের বিভাগে স্থায়ী কোন শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে বরাদ্দকৃত একটি কক্ষে ৪টি সেশনের ক্লাস করতে চরম সমস্যা হয়। বিভিন্ন সময়ে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবি জানালে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমি ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণকাজ শেষে সেখানে অর্ধেকাংশ বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। তবে গত ১ বছরে ভবনের মূল নকশা পরিবর্তন করে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া কক্ষগুলো দখলের জন্য একটি বিভাগ থেকে সেখানে আসবাবপত্র ঢোকানো হয়েছে। বিষয়টি জানার পর গত মঙ্গলবার আমরা কক্ষ দখলের জন্য ঐ ফ্লোরে অবস্থান নিলে পরোক্ষভাবে বিভিন্ন হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছি। আমরা প্রশাসনের কাছে এসব হুমকিদাতার বিচার ও শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার বলেন, প্রায় ছয় বছর ধরে আমাদের বিভাগে নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ নেই। শিক্ষার্থীরা ক্লাস, সেমিনারসহ বিভিন্ন একাডেমিক কাজে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি প্রশাসনকেও বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি প্রশাসন দ্রুত শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে ভিসির দায়িত্বে থাকা প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজ শেষে ঠিকাদাররা আমাদেরকে ভবন বুঝিয়ে দিলে তারপর আমরা বরাদ্দের বিষয়ে আগাবো। এখনও সেখানে কোনো বিভাগকেই লিখিতভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
হুমকির বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, ভিসি স্যার ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো।
বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে