ইবির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:১৭
আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালুসহ ৫ দফা দাবিতে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খেলোয়াড়রা। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ২০/২৫ জন খেলোয়াড় প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এতে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকূপার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো আটকা পড়ে। পরে প্রায় আধা ঘণ্টা আন্দোলনের পর প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।
খোলোয়াড়দের অন্য দাবিগুলো হলো- আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার সব ইভেন্টে দল পাঠানো, বাৎসরিক খেলার সূচি তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ খেলাগুলো চালু রাখা এবং খেলাধুলা বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে নেয়া ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে আলাদা করে শারীরিক শিক্ষা বিভাগে জমা করতে হবে।
জানা যায়, দাবিগুলো নিয়ে সকালে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেলের সাথে আলোচনায় বসেন খেলোয়াড়রা। আলোচনায় তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস না দিয়ে নানা রকম অজুহাত দেখান শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক। ফলে দুপুর দুইটার দিকে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা খেলাধুলা বাবদ ১৬০ টাকা করে দেই। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ বছর ধরে কোন আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়নি। টাকাগুলো কোথায় যাচ্ছে? আমরা এর হিসাব চাই।
তারা আরও বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য বারবার আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রশাসন দাবিগুলো মেনে না নিয়ে আমাদের সাথে তালবাহানা করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
প্রায় আধা ঘণ্টা আন্দোলনের পর প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রশাসনের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।
এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল বলেন, আমরা আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট খেলার জন্য সভাপতিদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছি। অন্য দাবিগুলোর বিষয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি শনিবারের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।
এর আগেও বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সব ইভেন্টে অংশগ্রহণের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছিলেন খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি
