আবারও ঝুলে আছে ডাকসু নির্বাচন
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ১২:১০ আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, ১২:২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) যা দেশের দ্বিতীয় সংসদ হিসেবেও পরিচিত। সেই ডাকসু নির্বাচন হচ্ছিলো না দীর্ঘ ২৮ বছর। যার ফলে ডাকসু ছিলো অচল। ২০১৯ সালে ২৮ বছর পর নির্বাচন হলে সেই অচলাবস্থা কাটে। কিন্তু এক বছর পরই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেই নির্বাচনে বিজয়ী কমিটি সক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হলেও তারপর তিন বছর কেটে গেল তবুও হয় নি ডাকসু নির্বাচন।
দীর্ঘ ২৮ বছরের অচল অবস্থা ভেঙে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের সর্বশেষ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ২৫টি পদের ২৩টিতেই জয় পায় ছাত্রলীগ প্যানেলের নেতারা। শুধুমাত্র ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয় পান ছাত্র অধিকার পরিষদের নুরুল হক ও আখতার হোসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত (২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী সদস্য) বলেন, 'ডাকসু নির্বাচন কেন হচ্ছে না আমরাও জানতে চাই। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন এ নির্বাচিত ছাত্রলীগের প্যানেলের ডাকসু নেতারা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে খুবই সক্রিয় ছিলো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার পূর্ণ হয়েছিলো। দ্রুত সময়ের মধ্যে আবার ডাকসু নির্বাচন চাই।'
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. খোরশেদ আলম মনে করেন ঢাবি প্রশাসন দ্বারা ডাকসু নির্বাচন দেয়া এখন সম্ভব না। তিনি বলেন, ‘গণভবন থেকে যেই সিদ্ধান্ত আসবে সেই সিদ্ধান্ত এর বাইরে গিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছুই করতে পারে না। রাষ্ট্র কাঠামোতে যেমন একটি পেশি শক্তি দখল করে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয় ও তেমন ই, এক্সটেনশনের মতো। তাই আমরা বিশ্বাস করি না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন দিবে।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.আখতারুজ্জামান বলেন,' ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত হলেই ভালো হত। তবে, আমাদের একসময়ের দেখা রাজনীতি ও বর্তমান রাজনীতির মধ্যে অনেক পার্থক্য লক্ষণীয়। আরও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখলেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ভাবা যাবে।'
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ