ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

১২শ জবি শিক্ষার্থীর হলে নেই কোন মেডিকেল সেন্টার

  অনুপম মল্লিক আদিত্য

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৫

১২শ জবি শিক্ষার্থীর হলে নেই কোন মেডিকেল সেন্টার
ছবি: প্রতিনিধি

একটিমাত্র আবাসিক হল দিয়েই অনাবাসিক তকমা গুছানো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রীহল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নেই কোন মেডিকেল সুবিধা। একটি মাত্র হুইল চেয়ার ছাড়া হলটিতে মেডিকেল সরঞ্জাম হিসেবে বলার মতো কিছুই নেই। ফলে কোন শিক্ষার্থী হঠাৎ করে অসুস্থ হলে নেই কোন প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। তখন সকাল, দুপুর কিংবা রাত হোক, তাকে অসুস্থ শরীর নিয়ে ছুটতে হচ্ছে সুমনা হাসপাতাল বা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উদ্বোধন করা হয় বহুল প্রতীক্ষিত বেগম ফজিলাতুন্নাছা মুজিব হল। এরপর প্রায় আড়াই বছর পরেও হলটিতে কোন মেডিকেল সেন্টার খোলা হয়নি। যার কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের প্রতি নির্ভরশীল থাকতে হয়। কিন্তু দাপ্তরিক সময় ছাড়া অন্যান্য সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বন্ধ থাকে মেডিকেল সেন্টারও। এছাড়াও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তাহে মাত্র চার দিন স্বশরীরে ক্লাস হয় এবং এই চার দিন স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার সুযোগ থাকে। এতে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে শিক্ষার্থীদের হয়তো ঢাকা মেডিকেল, সুমনা হাসপাতাল কিংবা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলে ছুটতে হচ্ছে।

সম্প্রতি মৌসুম পরিবর্তনের ফলে ছাত্রীরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে যখন তখন হাসপাতালে ছুটছে। এমন সময় হলটিতে হাউজ টিউটর বা প্রভোস্ট কাউকেই পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কিছুদিন পূর্বে মুজাহিদ বিল্লাহ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, রাত প্রায় ১.৩০ বাজে, এক বান্ধবীকে ন্যাশনাল মেডিকেল ভর্তি করিয়ে বাসায় আসলাম। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং আবাসিক হলে থাকে। আবাসিক হল থাকা সত্বেও জবির হলে নেই কোন মেডিকেল সুবিধা। একজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হলে ভালো ট্রিটমেন্ট এর ব্যবস্থা নেই। থাকার জন্য থাকা আর তিনবেলা সাধারণ খাবার ছাড়া আর কি সুবিধা জবির হলে আছে আমার জানা নেই! জানা থাকলে জানান। সম্প্রতি ইউজিসির প্রকাশিত আবাসন সুবিধার লিস্টটি দেখুন, একদম তলানিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের ছাত্রদের তো হল নেই। আমাদের বোনদের একটা থাকার জায়গা আছে সেটাকে অন্তত পারফেক্ট করতে না পারেন ঠিকঠাক করে তুলুন।

হলে আবাসিক এক শিক্ষার্থী জানান, আমি একবার রাতে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তিতে হলে কোন চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ঐ সময়ে হলে দায়িত্বরত কোন হাউজ টিউটরকে পাইনি। পরবর্তিতে প্রভোষ্ট (শামীমা বেগম) ম্যামকে কল করার পর আমাদের সঙ্গে একজন দাড়োয়ান পাঠিয়েছিল। আসলে আমাদের হলে ইমার্জেন্সি একটি মেডিকেল সেন্টার দরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার বলেন, ভিসি স্যারের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা ঈদের পরেই একটা রুম নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনে দিব। আর হলে মেডিকেল সেন্টারের বিষয়ে আমি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত