ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

শজিমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

  বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৩:১৬  
আপডেট :
 ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৪:০৭

শজিমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ। ফাইল ছবি

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। শজিমেক ছাত্রাবাসে বুধবার (২৯ মার্চ ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

আহতরা হলেন, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী দ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয়। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমিও। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, ২০২৩ সালে মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের নিজ নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্বে জড়ানো সবাই ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাত ১০টায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।

বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি বলেন, সভাপতির গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথম আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বগুড়া ছিলিমপুর শজিমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আহতরা শজিমেক হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত