ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

জাল সনদে চাকরি

ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪ শিক্ষককে টাকা ফেরতের নির্দেশ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ১৭:১৩  
আপডেট :
 ২৯ মে ২০২৩, ১৭:১৯

ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪ শিক্ষককে টাকা ফেরতের নির্দেশ
ফাইল ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে জাল সনদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়া ১৪ শিক্ষককে তাদের বেতন বাবদ নেয়া টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চাকরিচ্যুত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করার কথাও বলা হয়েছে। সম্প্রতি এক নোটিশে এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তবে অভিযুক্ত কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের সনদ জাল নয় দাবি করে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন। যদিও জেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে বলা হয় মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা তারা পায়নি।

গত ১৮ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী সচিব মো. সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, ঠাকুরগাঁও জাল সনদধারীর মধ্যে হরিপুর উপজেলার বরমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক আব্দুল খালেক, সদরের দারাজগাঁও হামিদ আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক দুলাল চন্দ্র বর্মণ, বৈরাগী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মিনু রানী কুন্ড, হরিপুর তোররা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক জসিম উদ্দিন, পীরগঞ্জ সাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক ময়রুমা খাতুন, রানীশংকৈল উপজেলার জওগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ের শিক্ষক মো. আবু মীর রায়হান, সদরের রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক আতিকুর রহমান, সিন্দুর্না উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক ফাইশাল আলী, পারপুগী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক সাইদা ইসলাম, সালন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক আতিয়ার রহমান, লোলপুকুর ডি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মের শিক্ষক জাসোদা বালা দেবী, ভাতুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক মো. জিল্লুর রহমান, নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজের দর্শনের প্রভাষক মো. মোশারফ হোসেন, পীরগঞ্জ মহিলা কলেজের দর্শনের প্রভাষক লিপিকা রানী রায়, একই কলেজের প্রভাষক জগবন্ধু রায়ের নাম রয়েছে।

জাল সনদের অভিযোগ ওঠা সদর উপজেলার বৈরাগীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মিনু রানী কুন্ড নিজের সনদ আসল দাবি করে বলেন, ‘তালিকায় আমার নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি। এ বিষয়ে আমি আপিল করব। বিদ্যালয়ে এখনো পাঠদান নিয়মিত করাচ্ছি।’

অন্যদিকে ৭ বছর শিক্ষকতা করে নিজের সনদ জাল বুঝতে পেরে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার কথা জানান সদর উপজেলার সালান্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে সনদটি জাল বুঝতে পেরে অব্যাহতি নিয়েছি। বর্তমানে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করছি।’

তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল আলম বলেন, ওই শিক্ষকের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ার পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হাতে পেলে তার বিরুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি তারা।

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন নির্দেশনার বিষয়টি আমি পত্রিকায় দেখেছি, এখনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন: চার শিক্ষককে ফেরত দিতে হবে অর্ধকোটি টাকা

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত