ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইবির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

  ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০১:০০

ইবির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রতিনিধি

সাম্প্রতিক সময়ে যে কোন দাবি আদায়ে প্রধান ফটক আটকিয়ে আন্দোলনের প্রবনতা বেড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবিতে এসব আন্দোলন হলেও এতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। একের পর এক ছাত্রলীগের এসব আন্দোলনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন শহরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি করে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় কতটা যৌক্তিক এ বিষয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেক শিক্ষার্থী। আন্দোলনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট আটকিয়ে আন্দোলন করে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য? এ আন্দোলন কতোটা যৌক্তিক ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে আমরা জানতে চাই।

গত ২৪ মে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা বাবদ অর্থের দাবিতে প্রধান ফটক আটকে আন্দোলন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে শহরে থাকা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ফের আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ রুটে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রধান ফটক দিয়ে বের হতে না পেরে দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এদিকে কী দাবিতে আজ আন্দোলন চলছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট কোন দাবির কথা বলতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। একাধিক আন্দোলনকারী একেকরকম দাবির কথা জানিয়েছেন। শুরুতে ইতিপূর্বে প্রশাসনের কাছে দেওয়া ছাত্রলীগের ৩৩ দফার বিষয়টি জানালেও পরে তারা ৭ দফা দাবির কথা জানান। অন্যদিকে কয়েকজন নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা। তবে পরে আবার তারা ৪ দফা দাবির কথা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা বলুক। পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এভাবে কথায় কথায় এভাবে গেইট আটকানো উচিত না। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমি মনে করি এটা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমাদের যেসব নেতা কর্মীরা হলে থাকে তারা আন্দোলন করেছে। যৌক্তিক দাবিতেই তারা আন্দোলন করেছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি করে আন্দোলন করা কতটা যৌক্তিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করেছে তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত