ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদ ঢাবিতে

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১১

পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদ ঢাবিতে
ছবি: প্রতিনিধি

দেশের বিভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গোৎসবে সংঘটিত পূজামণ্ডপে হামলা ও প্রতীমা ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তারা।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রতিবাদ সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, শারদীয় দুর্গা উৎসবে যারা আক্রমণ করেছে, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে যারা আঘাত করেছে, উৎসবের স্বাধীনতাকে যারা ক্ষুণ্ণ করেছে, বাংলাদেশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকারকে যারা ছিন্নভিন্ন করেছে, সেই সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে এবং সাম্প্রদায়িক সহিংতার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজকের এই প্রতিবাদ সমাবেশ।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে কারা জড়িত থাকতে পারে, এই সাম্প্রদায়িক শক্তির রিমোট কন্ট্রোল কাদের হাতে। এরা হলো বিএনপি-জামায়াত নামক মাফিয়া রাজনৈতিক সংগঠনটি, যারা কখনো ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারিজ ব্যবহার করে এ দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালিয়েছে। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কখনো সাম্প্রতির উৎসবকে আক্রমণ করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছে, যারা কমিউনাল গডফাদার হয়ে যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিহ্নিত হয়েছে।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, তারা (বিএনপি) যখন আন্দোলন কথা বলেন, তখন আমরা অনিরাপদ বোধ করি, বাঙালি হিসেবে এই মাটির যে উৎসব, এই শেকড়ের যে উৎসব, সেগুলো আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারবো কিনা। নয়া পল্টন থেকে যারা রাজনৈতিকভাবে আমাদের মোকাবেলা করার কথা বলে, তাদের আন্দোলনের মোকাবেলার ফলাফল হিসেবে যে আমাদের মন্দিরের ওপরে হামলা করা হবে তা দিবালোকের মতো আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক দাবানল যারা তৈরি করতে চায়, নির্দিষ্ট ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা যারা গড়ে তুলতে চায়, তাদেরকে 'না' বলার সময় আজকে এসেছে। শুধুমাত্র প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে। যেখানেই মন্দিরে তারা আক্রমণ চালাবে সেখানে শুধুমাত্র আর্তনাদ আমরা করবো না, সকলের উৎসবের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে যে বাঁশ দিয়ে আমরা বাঁশি তৈরি করি সেই বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।

ঢাবি সাহিত্য সংসদের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমরা আগে মানুষ হবো, বাঙালি হবো। আজকে যখন রমজান আসে তখন আমরা দেখতে পারি, আমাদের যে বিধর্মী সহকর্মী, সহপাঠীরা, পাড়া-প্রতিবেশী আছেন, আমি মুসলমান, আমি রোজা রেখেছি, এজন্য তারা আমার সামনে খাচ্ছেন না। বাংলার ঐতিহ্য হলো আমাদের বাঙালি হিন্দু, মুসলমান আমরা সবাই ভাই ভাই। এর মাঝে কোন বিভাজন নাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক দিগার মোহাম্মদের সঞ্চালনার এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ হলের সাবেক জিএস কাজল দাস, নাট্য সংসদের সবেক সভাপতি সামিউল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত