ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

চিরকুট লিখে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ মে ২০২২, ০২:০৪

চিরকুট লিখে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
নিহত অমিত কুমার বিশ্বাস। ফাইল ছবি

চিরকুট লিখে হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্র। অমিত কুমার বিশ্বাস নামের ওই ছাত্র জাবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শহীদ রফিক জব্বার হলের ৩১৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জাবির শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন অমিত। অমিতের বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়।

মৃত্যুর আগে চিরকুটে অমিত লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই।

প্রিয় মা, বাবা, ছোটবোন, সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

মঙ্গলবার দুপুরে জাবির শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে লাফ দেন অমিত। গুরুতর আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অমিতের রুমমেট রবিন ঘোষ জানান, অমিত খুবই ভালো ছেলে ছিল। জানামতে, তার ভেতর কোনো ধরনের হতাশা ছিল না। সে নিয়মিত মেডিটেশন করত। তবে ইদানিং কিছুটা অসুস্থ ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের সমস্যা ছিল না অমিতের। আজকে (মঙ্গলবার) দুপুরেও আমরা বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে খাবার খেয়েছি। খাওয়ার পরে সে হলে চলে আসে। কিছুক্ষণ পর শুনি সে ছাদ থেকে পড়ে গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান হৃদয় বলেন, আমি তিন তলায় থাকা অবস্থায় ভারি কিছু ছাদ থেকে পড়ার শব্দ শুনি। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অমিতকে পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই হলের অন্যান্য ছাত্রদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে আসি। সেখান থেকে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শহীদ রফিক জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিকভাবে আহত অমিতকে এনাম মেডেকেলের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাই। আমরা সকল ধরনের সহযোগিতা দিয়েও তাকে বাঁচাতে পারিনি। তার মৃতদেহ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করেই খুলনায় গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) দায়িত্বরত চিকিৎসক ইফরান বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার (অমিতের) মৃত্যু হয়েছে। ইন্টারনাল ব্লিডিং ও মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত