ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিন দিন যাবত নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থী ইভান

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২২, ২৩:২৫

তিন দিন যাবত নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থী ইভান
নিখোঁজ ঢাবি ছাত্র আব্দুল্লাহ আনাস ইভান। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আব্দুল্লাহ আনাস ইভান (২২) নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বিগত তিনদিন যাবত নিঁখোজ রয়েছেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় ডায়েরির জন্য একটি লিখিত তথ্যবিবরণী জমা দিয়েছেন নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাবা ।

গত ১১ মে রাত ১০ টার দিকে নিঁখোজ ইভান মিরপুর-১ এ অবস্থিত খালাত ভাইয়ের বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ইভানের পিতা এ. জে. এম ছালেহ উদ্দীন বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিখোঁজ ইভান (২২) ঢাবির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ০৭ নম্বর কক্ষে তিনি থাকতেন। তার গায়ের রঙ ফর্সা, মাথায় চুল কম, উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। নিখোঁজ হওয়ার আগে তার পরনে একটি চেক শার্ট ও নেভি ব্লু রংয়ের জিন্স প্যান্ট ছিল।

নিখোঁজের বাবা ছালেহ উদ্দীন বলেন, ‘ঈদের পর ৯ তারিখ ওদের একটা পরীক্ষা ছিল। ইভান শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। সে ইনফেরিয়রিটি কমপ্লেক্স ও অ্যাংজাইটিতে ভুগছিল। তার পরীক্ষা দেয়ার মতো অবস্থা ছিল না। ৭ তারিখ সে মিরপুর-১ এর তার খালাত ভাইয়ের বাসায় ওঠে এবং তখন থেকে সেখানেই থাকে। সেখান থেকে হলে আসা-যাওয়া করে। ৯ তারিখ পর্যন্ত তার সাথে কথা হয়েছে। ১০ তারিখ থেকে আর কথা হয়নি, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমি আজকে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরির জন্য লিখিত দিয়ে আসি। থানা থেকে জিডিতে সাইন করা না হলেও জানানো হয় নিখোঁজ হওয়ার স্থান নিশ্চিত করে তারা ডায়েরি করবেন। ‌অন্য থানার আওতায় হলে সেখানে জিডি করিয়ে দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মিরপুরেও খোঁজ নিয়েছি। মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১২ পর্যন্ত আমি রিক্সা নিয়ে খুঁজেছি, কোথাও সে আছে কি না। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাইনি।’

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার বলেন, ‘নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাবা একটি লিখিত তথ্য এনে আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন। বিষয়টা আমরা দেখছি, যাচাই করছি। আমরা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি ছেলেটি কোথা থেকে নিঁখোজ হয়েছে। আমরা এখনও আমাদের থানা এলাকায় ওনার ছেলের লোকেশন পাইনি। আমরা যদি দেখি যে আমাদের থানা থেকে নিখোঁজ তবে আমরা জিডি করে নেব। আর যদি দেখি অন্য থানায়, তবে আমরা সেখানেও জিডি করিয়ে দেব।’

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাবাকে আমরা পরামর্শ দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কাজ করছে। আমাদের একজন সহকারী প্রক্টর বিষয়টির তদারকি করছেন। নিখোঁজ হওয়ার পূর্বে সর্বশেষ সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে যোগাযোগ করে। আমরা গণমাধ্যমের সাহায্যে বলতে চাই সে যেখানেই থাকুক যাতে ফিরে আসে। আমাদের প্রত্যাশা সে দ্রুতই সুস্থভাবে ফিরে আসবে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত