ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সবাই তো ফেসবুকে নোটিফিকেশন দেখে শুভেচ্ছা জানায়: সারিকা

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২৭

সবাই তো ফেসবুকে নোটিফিকেশন দেখে শুভেচ্ছা জানায়: সারিকা

২০০৬ সালে ‘ডিজুস’ এর বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু। প্রথম বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে রীতিমত বাজিমাত করেন। এরপরই বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনের মডেল হন এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হন। একের পর এক বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে দর্শকপ্রিয়তা পান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য বিজ্ঞাপন ও নাটকে। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। মাঝে ব্যক্তিগত জীবন ও নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হলেও এখন আপন মনেই কাজ করে চলেছেন। বলছিলাম জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিনের কথা।

আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছোঁয়ার আগে থেকেই কাছের মানুষজন, সহকর্মী ও ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সারিকা। সচরাচর জন্মদিনে কোনো শুটিং রাখেন না তিনি। তার মতে, জন্মদিনটা হচ্ছে ‘ফ্যামিলি ডে’।

সারিকা সাবরিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘জন্মদিনটাকে আমি ‘ফ্যামিলি ডে’ হিসেবেই দেখি। এদিন শুটিং রাখি না। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দঘন এক মুহূর্ত কাটাই। এছাড়া কাছের বন্ধু-বান্ধব,সহকর্মীরা অনেকেই আমাকে সারপ্রাইজ দেন, কেক কাটেন। এগুলো বেশ উপভোগ করি আমি।

এখন তো সবাই ফেসবুকে নোটিফিকেশন দেখে শুভেচ্ছা জানায়। শুধু কাছের মানুষরাই কিন্তু দিনটা মনে রাখে। আমার তো সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। আমাকে যারা ফোন করে কিংবা মেসেজে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তারা আমার কাছের মানুষ, তারা এই দিনটির কথা মনে রাখেন। দিনশেষে এটাই তো পাওয়া।’

জন্মদিনে তেমন কিছুই করছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে আছি, এরপর বন্ধু বান্ধব্দের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটাবো। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো কেক কেটেছি, আরও অনেকগুলো কাটতে হবে। আম্মু নানারকম পদের খাবার রান্না করেছেন আর বাবা তো সারাক্ষণ আদর যত্নে ভরিয়ে রাখছেন আমাকে। আমার বাবা যখন আমাকে আদর করে তখন আমার মেয়ের খুব হিংসা হয়। সে চায় তার মাকে শুধু সে আদর করবে। সত্যি বলতে খুবই চমৎকার একটা সময় পার করছি।

জন্মদিনে মজার স্মৃতি জানাতে গিয়ে সারিকা বলেন, জন্মদিন নিয়ে তো অনেক অনেক স্মৃতি রয়েছে কিন্তু এখন মনে পড়ছে না তেমন। তবে আজকে দুপুরে পরিবারের সবার সঙ্গে যখন খাবার খাচ্ছিলাম তখন আমার বাবা আমাকে নিয়ে ছোটবেলার অনেক গল্প শোনাচ্ছিলেন, আমি সেগুলো শুনছিলাম। আমি যখন জন্মেছিলাম তখন আমার বাবা খুব কাঁদছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করিডোরে বসে। তখন ডাক্তার যখন উনাকে জিজ্ঞেস করছিলো যে, আপনার তো এক ছেলে আছেই, এখন মেয়ে হয়েছে; এরজন্য আপনি কাঁদছেন? আপনার তো খুশি হবার কথা! কিন্তু আমার বাবা তখন খুশিতেই কাঁদছিলেন, সেটা সবাই অনেক পরে বুঝতে পেরেছিলো। ওইসময় ফুল দিয়ে গাড়ি সাজিয়ে সেই গাড়িতে করে প্রথম আমাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে এসেছিলেন বাবা। সেসব মুহূর্ত মনে করেই আমি আবেগী হয়ে পড়ছি!

এবারের জন্মদিনে শান্তা আহমেদ নামে এক ভক্তের কাছ থেকে সেরা উপহার পেয়েছেন বলে জানান সারিকা। তিনি বলেন, ভক্তদের ভালোবাসার কারণেই কিন্তু আজকে আমি এখানে। তাদের ভালোবাসাকে অগ্রাহ্য করার অধিকার আমার নেই। আমার জন্মদিনে আমাকে অনেক কিছু উপহার দিয়েছে সে। শুধু তাই নয়, এই বিশেষ দিনটিকে বিশেষ করে রাখতে মেয়েটি ছিন্নমূল পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমার জন্মদিন পালন করেছেন। এটা আমার কাছে এবারের জন্মদিনের সেরা উপহার। শান্তার জন্য মন থেকে অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।

কাজে ফিরবেন কবে, এমন প্রশ্নে সারিকার উত্তর, কিছুদিন আগে আমার বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমরা সবাই আইসোলেশনে ছিলাম। এখন বাবা করনামুক্ত, সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আরও কিছুদিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবো, এরপর কাজে ফিরবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত