ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঋতুরাজের লেখা বইয়ের লভ্যাংশ সুবিধাবঞ্চিতের জন্যে

  আব্দুল্লাহ জুবায়ের

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৮  
আপডেট :
 ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০২:০২

ঋতুরাজের লেখা বইয়ের লভ্যাংশ সুবিধাবঞ্চিতের জন্যে
ছবি সংগৃহীত

“বাপকা বেটা” প্রবাদ বাক্যে সন্তানের প্রশংসাকেই বুঝিয়ে থাকা হয়। ঋতুরাজও তার ব্যাতিক্রম নয়। শুভশীষ ভৌমিকের উত্তরসূরি প্রমাণ করেছে সেটি। বাবা ছেলের “বাপ কা বেটা” ব্যান্ড এখন সকলের কাছে অতি পরিচিত এবং পছন্দ তালিকায়।

সংগীতপ্রেমী শুভাশীষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ছেলেকে নিয়ে তৈরি করেন “বাপ কা বেটা” ব্যান্ড। একই নামে ফেসবুকে একটি পেজও খুলেছেন। যেখানে বিভিন্ন শিল্পীর গাওয়া জনপ্রিয় ৩০টিরও অধিক গানের কভার প্রকাশ করেছেন দুজনে মিলে। মায়াবী কণ্ঠের সেই গানগুলো রীতিমতো ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি কুড়িয়েছে বিপুল প্রশংসা।

গায়ক ঋতুরাজ তার ঋতু পাল্টে লিখেছে বই। ৮ বছরের শিল্পী এবার আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে লেখক হিসেবে। প্রথমবারের মতো একটি গল্পের বই দিয়েই লেখালেখির শুরুটা করলেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বইমেলায় প্রকাশ পাবে বইটি।

ক্ষুদে এই লেখক বাচ্চাদের জন্য ১০টি মজার গল্প লিখেছেন তার বইতে। প্রতিটি গল্পের শেষে অবশ্য কিছু নৈতিক শিক্ষার কথা বলা রয়েছে। যা ৬ থেকে ১২ বছরের বাচ্চারা পড়ে খুব মজা পাবে এবং কিছু শিখতে পারবে বলে প্রত্যাশা তার।

ঋতুরাজ ভৌমিকের বই লেখার আগ্রহের বিষয়ে তার বাবা শুভাশীষ জানান, ” প্রায় দেড় বছর যাবত আমরা প্রথমে তাকে বই পরার প্রতি আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করি। পাশাপাশি আমার মা প্রতিদিন তাকে ঘুমানোর আগে মজার মজার গল্প শোনাতেন। এভাবেই আস্তে আস্তে সে বই পড়ার প্রতি আসক্ত হয়। পাশাপাশি আমরা তাকে লেখার জন্য উৎসাহ দেই।এর পাশাপাশি আমরা কোথাও ঘুরে আসার পর তাকে সেই অভিজ্ঞতা লিখতে বলতাম। এভাবেই সে গল্প লেখার প্রতি আগ্রহী হয় এবং আজ তা বাস্তবায়নের পথে। ৬ মাস আগেই বইটি লেখার কাজ শেষ করে ঋতুরাজ। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে ইলাস্ট্রেশনের কাজ শুরু করা হচ্ছিল না। বর্তমানে ইলাস্ট্রেশনের কাজ চলছে।

শুভশীষ ভৌমিক আরও জানান, ‘আমি বাবা হিসেবে এটি আমার জন্য একটি গর্বের বিষয়। আজ পর্যন্ত আমাদের পরিবারের কেউ বই লেখেননি। সেই কারনে খুব বেশি আনন্দিত আমি। আমি চাই ও এই অভ্যাসটা ধরে রাখুক। এতে করে অন্যান্য শিশুরাও বই পড়া এবং বই লেখার প্রতি আগ্রহী হবে। এবং এভাবে একটি সুশীল সমাজ গড়ে উঠবে। তাই আমরা চিন্তা করেছি, এই বই থেকে আমাদের অর্জিত লভ্যাংশের পুরো অর্থ আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনার পেছনে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি শিশুদের সচেতন করতে ব্যয় করব। তার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

ঋতুরাজের ভবিষ্যত নিয়ে শুভাশীষ বলেন, সে বড় হয়ে কি করবে সেটা সে নিজেই ঠিক করবে। আমি তাকে কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। বরং আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি তার যে কোন ফেইলের সময় তাকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার জন্যে। তখন আমি শুধুমাত্র দেখবো সে চেষ্টা করেছে কিনা। পাশাপাশি যেসব বিষয়ে আমার জ্ঞান রয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে তাকে জানানোর চেষ্টা করবো। সত্যি বলতে ঋতুরাজও বেশ উচ্ছ্বসিত তার বই বের হচ্ছে এবং বইয়ের ভিতরে থাকা গল্পের চরিত্রে তার বেশ কিছু বন্ধুদের নাম উল্লেখ করেছে। বই টা পড়ার পরে তার বন্ধুরা তাকে কি বলবে সেটি ভেবে সে খুব কৌতুহলি হয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সেফু/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত