ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

অন্ধকারে গেলে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে: মিশা সওদাগর

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:০৯

অন্ধকারে গেলে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে: মিশা সওদাগর

একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলী তার স্ত্রী ও বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই তিনি বান্ধবীকে উপহার দেন একটি ফ্ল্যাট। একদিন হঠাৎ বান্ধুবীর জন্য কেনা অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে আটকা পড়েন সেই প্রকৌশলী। তানিম পারভেজ পরিচালিত চরকি লিমিটেড সিরিজ ‘যদি আমি বেঁচে ফিরি’-এর গল্পটা ঠিক এরকমই। আগামী ২৯ সেপ্টম্বর মুক্তি পাবে কনটেন্টটি।

যেখানে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলীর চরিত্রের মধ্যে দিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিষেক হবে অভিনেতা মিশা সওদাগরের। প্রথমবার ওটিটির জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সেটা জানিয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘নতুন জায়গায় গেলে বা নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে সেটার অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকম থাকে। চরকির ক্ষেত্রেও আমার তেমনটা মনে হয়েছে। আর চরকি তো এরই মধ্যে তার কর্মফল দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কাজটা করার আগে থেকেই ফোকাস ছিলাম যে ভালো একটা প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ করতে যাচ্ছি। আমি যতটুকুন পেরেছি আমার সিরিয়াসনেসকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’

নিজের চরিত্র ও গল্প নিয়ে তিনি আর যোগ করেন, ‘গল্পটা দারুণ একটা হিউম্যান সাইকোলজির উপর। আর চরিত্রটা ছিল খুব বাস্তবসম্মত; দেখে মনে হবে খুব কাছের বা আপনার আশেপাশের একটা চরিত্র। আরোপিত কোনো চরিত্র না। আর এই গল্পটার মধ্যে অনেক বার্তা আছে যেটা দর্শক দেখলে বুঝতে পারবে।’

শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘এখন তো শ্যুট শেষ একটা জিনিষ শেয়ার করতেই পারি। আমি ক্লাস্টোফোবিয়ার রোগী। লিফট, বেজমেন্টে, হাইট, অন্ধকারে গেলে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। যখন আমি শুনলাম যে লিফটের মধ্যের গল্প তখন থেকেই চিন্তায় ছিলাম। পরে তো ভালো মতোই কাজটা শেষ করলাম।’

‘যদি আমি বেঁচে ফিরি’-তে বলা যায় অনেক প্রথমের সমন্বয়। কেননা মিশা সওদাগর বাদেও বিজরী বরকতউল্লাহ, দিলরুবা হোসেন দোয়েল ও পরিচালক তানিম পারভেজসহ সকলের চরকিতে এটা প্রথম কাজ।

অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ বলেন, ‘আমার কাছে স্ক্রিপ্টটা খুব ভালো লেগেছিল। আর এখন অনেক তরুণরা প্রচুর ভালো ভালো কাজ করছে। আমি তো বিশ্বাস করি তরুণরা এখন অনেক নতুন কনটেন্ট, নতুন কনসেপ্ট আবিষ্কার করে আমাদের কাজের সুযোগ করবে। দর্শকরা ভালো কিছু দেখবে।

‘আমার কাছে মনে হয়েছে, চরকির ভিশন খুব পরিস্কার। তারা আসলে দর্শককে খারাপ কিছু দিতে চায় না। এই জায়গাটার সাথে আমার রুচির সাথে অনেকখানি মিলে গেছে। দর্শক এবার বিচার করুক

অভিনেত্রী দিলরুবা হোসেন দোয়েল বলেন, ‘গল্পের প্লটটা খুব সমসাময়িক। আর এরকম বাস্তব গল্প দর্শক দেখতেও পছন্দ করে। আর দর্শক এখন পর্যন্ত আমাকে যেসব চরিত্রগুলোতে দেখেছে সেগুলো থেকে এই চরিত্রটা একদম আলাদা। এই প্রথম দর্শক আমাকে এরকম চরিত্রে দেখবে। আর মিশা ভাই, বিজরী আপুর সাথে কাজ করবো ভেবে এতো নার্ভাস ছিলাম যে কি বলবো। তবে সবাই মিলে খুব আনন্দ নিয়ে, টিম হয়ে কাজটা করেছি।‘

ড্রামা, সাসপেন্সভিত্তিক এই সিরিজে অভিনয় করেছেন মুসাফির সৈয়দসহ আরও অনেকে।

পরিচালক তানিম পারভেজ বলেন, ‘প্রতিটি নতুন কাজই আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা, আর এক একটা অভিজ্ঞতা আমার কাছে অর্জন। কনটেন্টের গল্পটা প্রথম শুনেই বেশ মজা পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি গল্পটা নতুন ভাবে প্রেজেন্ট করতে। অভিনেতা থেকে কলাকুশলী বেশিরভাগ সবাই কাজটার প্রতি বেশ ডেডিকেটেড ছিলেন। যে কারণে অনেক কঠিন সময় পার করে আসতে পেরেছি। বাকিটা এখন দর্শকের উপরে।‘

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত