সুরের সরস্বতীর প্রয়াণের এক বছর
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫৬

উপমহাদেশের কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২২ সালের আজকের এই দিনে সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সুরের সরস্বতী।
|আরো খবর
সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচকের হৃদয় তৃপ্ত করে চলা ভারতীয় সংগীতের এই কিংবদন্তি ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন। কিন্তু তার সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর এক মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া হয় তার। সেটি ছিল এক মরাঠি ছবি। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবিতে গান, যার নাম ছিল মজবুর।
ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে, মারাঠি গান গেয়ে। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম হিন্দি সিনেমার জন্য গান করেন। বসন্ত জোগলেকরের আপ কি সেবা মে ছবিতে তিনি ‘পা লাগু কার জোড়ি’ গানটি গেয়েছিলেন। দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দার তাকে প্রথম বড় সুযোগ দেন।
‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিল মেরা তোরা’ গানটির পর লতাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। সংগীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ডের ইতিহাস আশা ভোসলের। তিনি গেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার গান। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এ রেকর্ড ছোট বোন আশার হওয়ার আগে ছিল লতা মঙ্গেশকরের। লতা গেয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার গান। লতা মঙ্গেশকর ৩৬টি ভাষায় গান করেছেন। এর মধ্যে আছে বাংলাও। ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’, ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’, ‘ও মোর ময়না গো’, ‘ও পলাশ ও শিমুল’, ‘আকাশপ্রদীপ জ্বেলে’সহ আরও অনেক বিখ্যাত বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন অর্জন করেন। এছাড়া ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে