হঠাৎ আলোচনায় দুবাইয়ের সেই নিখোঁজ রাজকুমারী
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২১, ০৪:৫০ আপডেট : ২৩ মে ২০২১, ০৪:৫৩
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের মেয়ে প্রিন্সেস শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ আল-মাখতুমকে নিয়ে হঠাৎ করে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা এই রাজকুমারীকে নিয়ে এমন আলোচনার পেছনে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তার একটি ছবি।
এ সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামের অন্তত দুইটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা একটি ছবিতে দুই তরুণীর সঙ্গে দেখা যায় তাকে। এরপরই ‘নিখোঁজ’এই রাজকুমারীকে নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে আলোচিত হন রাজকুমারী লতিফা। সে সময় তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাজকুমারী বলছেন, তাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং তিনি প্রাণনাশের শঙ্কায় রয়েছেন।
ভিডিওটি প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজকুমারী লতিফার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এবং তিনি জীবিত আছেন কি না সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে তার প্রমাণ চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
রাজপরিবারের পক্ষ থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজকুমারী শেখ লতিফা বাড়িতে আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছেন।
ওই ভিডিও প্রকাশের আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ২০১৮ সালের মার্চে শেখ লতিফা সমুদ্রপথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরই তাকে বন্দি করে রাখা হয়।
সে সময় ভাইরাল ওই ভিডিওতে রাজকুমারীকে বলতে শোনা গেছে, আমাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না, বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। আমি কোনোভাবে দুবাই ছাড়তে পারছি না।
ওই ভিডিওর পর রাজকুমারীকে এতোদিন ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। অবশেষে দেখা মিলল ইনস্টাগ্রামে। তবে ছবিটি কবের আর কোথায় তোলা সে বিষয়ে নিশ্চিক হওয়া যায়নি।
ছবিটি প্রসঙ্গে নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি রাজকুমারীকে মুক্ত করার লক্ষ্যে গঠিত ফ্রি লতিফা গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড হেইগ।
বিবিসিকে তিনি বলেছেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে, রাজকুমারী লতিফার মুক্তির আন্দোলনে বেশ কিছু সম্ভাব্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এই পর্যায়ে আমাদের মন্তব্য করার ইচ্ছে নেই। তবে এ বিষয়ে যথাসময়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।
দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম একইসঙ্গে আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রনেতাদের একজন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম