ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইংলিশ চ্যানেলে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ নরওয়েতে উদ্ধার

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২১, ০২:১৯

ইংলিশ চ্যানেলে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ নরওয়েতে উদ্ধার

পরিবারের সঙ্গে গত বছরের অক্টোবরে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সময় ইংলিশ চ্যানেলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে নিখোঁজ কুর্দি ইরানি শিশু আর্টিনের মরদেহ নরওয়ের উপকূলে উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবির পর ইরানিয়ান কুর্দি পরিবারটির চার সদস্য মারা যান। ওই সময় ১৫ মাসের শিশু আর্টিনের খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর এসে নরওয়ের পুলিশ জানালো, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির উপকূলে আর্টিনের মরদেহ খুঁজে পেয়েছে তারা। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আরো একটি মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশু আর্টিনের পরিবার থাকত ইরাক সীমান্ত–সংলগ্ন ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে, শারদাস্ত শহরে। গত বছরের আগস্টে পরিবারটি ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ে। প্রথমে তুরস্ক হয়ে পরে তারা ইতালিতে আসে। অক্টোবর নাগাদ পরিবারটি সেখান থেকে ফ্রান্সে প্রবেশ করে। পরের গন্তব্য ছিল যুক্তরাজ্য।

২৭ অক্টোবর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ডুবে যায় তাদের বহনকারী নৌকা। পরিবারের চার সদস্যের মরদেহ মিললেও খোঁজ ছিল না আর্টিনের। আজ সোমবার নরওয়ে পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিন নরওয়ের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় কারময় উপকূলে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে এত দিন তার পরিচয় মিলছিল না। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ওই ঘটনায় নরওয়ে পুলিশের তদন্ত প্রধান ক্যামিলা তেলে ওয়েগে বিবিসিকে বলেন, শিশু নিখোঁজ হওয়ার কোনো ঘটনা নরওয়েতে নথিভুক্ত হয়নি। এমনকি গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পর কোনো পরিবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শিশুটির চেহারাও নরওয়ের মানুষের সঙ্গে মেলে না। এসব বিবেচনায় নিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল, শিশুটি নরওয়ের নয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, অসলো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। স্বজনের ডিএনএ নমুনা পেতে বিলম্ব হওয়ায় মরদেহটি যে আর্টিনের, সেটা জানতে অনেক সময় লেগে যায়। এখন তার মরদেহ ইরানে স্বজনদের কাছে পাঠানো হবে।

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবির ওই ঘটনায় আর্টিনের পরিবারের চার সদস্য রাসুল ইরান–নেজাদ (৩৫), শিভা মোহাম্মদ পানাহি (৩৫), আনিতা (৯) ও আরমিনের (৬) মৃত্যু হয়েছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল আরও ১৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত