ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেতন শুনেই চমকে গেলেন বিজেপির বিধায়ক!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২১, ২০:০৩

বেতন শুনেই চমকে গেলেন বিজেপির বিধায়ক!
সংগৃহীত ছবি

অনেক কষ্টে টেনেটুনে সংসার চালান চন্দনা বাউড়ি। রাজমিস্ত্রি স্বামী শ্রবণ দৈনিক ৪০০ টাকার মজুরিতে কাজ করেন। চন্দনাও স্বামীর সঙ্গে জোগাড়ের কাজ করেছেন এতো দিন। তার দৈনিক মজুরি ছিলো ২৫০ টাকার মতো। এখন তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য। বিজেপির হয়ে ভোটে জেতার পরে শপথ নিতে গিয়েছিলেন বিধানসভায়।

সেটাই প্রথম বার বিধানসভা দেখা। এখন পর্যন্ত সেটাই শেষ বার। শপথ নেওয়ার সময় থেকেই করোনার বাড়াবাড়ি আর রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি। সে কারণে আর যাওয়া হয়নি বিধানসভায়। ফলে এখন পর্যন্ত বিধায়ক হিসেবে প্রাপ্য বেতন পাননি তিনি। জানেনও না প্রতি মাসে ঠিক কত টাকা বেতন বা ভাতা বাবদ পাবেন। সেই অঙ্কটা শোনার পর চমকে গেলেন চন্দনা।

বেতন ও বিভিন্ন ভাতা বাবদ পশ্চিমবঙ্গে একজন বিধায়ক মাসে মোটামুটি ৮২ হাজার টাকা পান। জুন মাসের মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে (নিয়ম অনুসারে কলকাতায় স্টেট ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখাতেই বিধায়কদের বেতন-অ্যাকাউন্ট হয়) যে দিন শপথ নিয়েছেন সে দিন থেকে হিসাব করে পুরো টাকা জুলাইয়ের শুরুতে পাবেন। সেটা এক লাখ টাকার বেশিই হবে। এসব জেনে চন্দনার অবাক গলায় প্রশ্ন, অত্ত টাকা মাইনে পাব?

এতো টাকা কীভাবে খরচ করবেন সেটাই ভেবে উঠতে পারছেন না। তবে চন্দনা জানান, এখন পর্যন্ত ভাবতে পারছি না এতো টাকা কী করবো। কিন্তু প্রথম বেতনের টাকায় মানুষের জন্য ভালো হয় এমন কিছুই করবো। তার পরেও বেতনের টাকা ওই কাজেই লাগাবো। এতো টাকা তো আমাদের লাগবে না।

বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া বিধানসভা এলাকার প্রায় পুরোটাই গ্রাম। তার মধ্যে আবার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের যে গ্রামে চন্দনার বাড়ি সেই কেলাইয়ে একেবারেই নিম্নবিত্তদের বাস। কাছাকাছি শহর বলতে বাঁকুড়া, ৩২ কিলোমিটার দূরে। তবে চন্দনার বদৌলতে কেলাই গ্রাম এখন বিখ্যাত। রাজ্যের দরিদ্র বিধায়কদের অন্যতম তিনি।

প্রার্থী হওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা তিনি জমা দিয়েছিলেন তাতে ৩২ হাজার টাকার মতো নগদ ছাড়া আর কিছুই সম্পত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন চন্দনা।

চন্দনা বলেন, কোনো দিন এমএলএ হবো, তা তো ভাবিইনি। মোদিজির স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে প্রথম বিজেপি অফিসে গিয়েছিলাম। তারপর থেকেই পার্টির হয়ে কাজ করছি। আমায় প্রার্থী করা হবে ভাবিইনি। সবাই চেষ্টা করেছে বলে আমি জিতে গেছি। সূত্র: আনন্দবাজার

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত