ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওমান উপসাগরে জাহাজ ছিনতাইয়ে কারা জড়িত?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২১, ১৬:২৯  
আপডেট :
 ০৪ আগস্ট ২০২১, ১৭:৫৭

ওমান উপসাগরে জাহাজ ছিনতাইয়ে কারা জড়িত?
প্রতীকী ছবি

ওমান উপসাগরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কাছে পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ ছিনতাই করে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ইরানের দিকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে দাবি করেছে লয়েডস লিস্ট মেরিটাইম ইন্টেলিজেন্স। বিটুমিন বহনকারী এমভি অ্যাসফল্ট প্রিন্সেস নামের এ ট্যাংকার এখন হরমুজ প্রণালীর দিকে যাচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, কারা জাহাজটি দখল করেছে, তা পরিষ্কার নয়। তবে এর পেছনে ইরানি বাহিনী জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ তৈরি করার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ইসরায়েলি মালিনাকাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত একটি তেলবাহী জাহাজে হামলার এক সপ্তাহের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল। ওমান উপকূলে জাহাজের ওপর ওই ড্রোন হামলায় দু’জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছিলেন, যাদের একজন ব্রিটিশ, আরেকজন ছিলেন রোমানিয়ার নাগরিক।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইসরায়েল ওই হামলার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে - যদিও দেশটি তা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।

বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, এমভি অ্যাসফল্ট প্রিন্সেসের মালিক দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানি। দুই বছর আগে তাদের একটি জাহাজ ছিনতাই করেছিল ইরানের বিপ্লবী বাহিনী।

জানা যাচ্ছে, হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি জাহাজটি আসার পর অন্তত ৯ জন সশস্ত্র ব্যক্তি জাহাজে ওঠেন। এ প্রণালী থেকে বিশ্বের মোট তেলের অন্তত এক পঞ্চমাংশ পরিবহন করা হয়ে থাকে।

এর আগে যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স (ইউকেএমটিও) জাহাজগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে, যেন সেগুলো ওমান উপসাগরে ফুজাইরাহের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে চলার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছাকাছি ওই জাহাজে কী ঘটেছে, সেটি নিয়ে তারা জরুরি ভিত্তিকে অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন। ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউজ।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে জাহাজ ছিনতাই হওয়ার সম্ভাব্য চেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিল ইউকেএমটিও। বার্তা সংস্থা এপির খবর, এর আগে দিনের প্রথমভাগে চারটি তেলবাহী জাহাজ জানিয়েছিল যে, জাহাজের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। সাধারণত কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলা বা আটকে গেলে এ রকম ঘোষণা দেয়া হয়ে থাকে। পরবর্তীতে অবশ্য একটি জাহাজ আবার নড়াচড়া করতে শুরু করে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছেন, মঙ্গলবার একাধিক জাহাজে যেসব ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা সন্দেহজনক। সেই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে যে কোন মিথ্যা ষড়যন্ত্রের পরিবেশ তৈরি না করার জন্য তারা সতর্ক করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল / টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত