পেনশনের টাকার জন্য মায়ের লাশ লুকিয়ে রাখে ছেলে

মায়ের পেনশনের টাকায় চলে সংসার, ছেলের আয় রোজগার নেই। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন মা মারা যান। যেহেতু মায়ের পেনশনের টাকায় সংসার চলে, তাই ছেলেটি পেনশনের অর্থ পেতে তার মায়ের মৃত্যুর খবর গোপন রাখেন। শুধু তাই নয়, মায়ের মরদেহও লুকিয়ে রাখেন তিনি। পরে অবশ্য ছেলে ধরা পড়ে যান পুলিশের কাছে। খবর বিবিসির।

ঘটনাটি অস্ট্রিয়ার পশ্চিম টাইরোল অঞ্চলের। গেল বছরের জুন মাসে ৮৯ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তারপর ছেলেটি এক বছরের বেশি সময় মায়ের মৃত্যুর তথ্য ও লাশ গোপন করে রাখে। এ সময় তিনি মায়ের পেনশনের অর্থ নিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁর প্রতারণা ধরা পড়ে।

তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবি, নিহত ১৪ 

অস্ট্রিয়ার পুলিশ ধারণা করছে ওই বৃদ্ধার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশের বরাত দিয়ে শুক্রবার বিবিসির খবরে বলা হয়, মায়ের মৃত্যুর পর পেনশনের প্রায় ৫০ হাজার ইউরো অবৈধভাবে তুলে নিয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী ছেলে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খবরে এও বলা হয়, এলাকায় নতুন ডাকপিয়ন আসার পরই ধরা পড়েন ছেলে। পেনশনের অর্থ দিতে নতুন ডাকপিয়ন বৃদ্ধার বাড়িতে যান। তিনি ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু বৃদ্ধার সঙ্গে ডাকপিয়নকে দেখা করিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান ছেলে। ডাকপিয়ন বৃদ্ধার দেখা না পাওয়ায় বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে গড়ায়। তারপরই ছেলের প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে।

অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ওআরএফকে পুলিশ জানিয়েছে, মায়ের মৃত্যুর পর ছেলে এ খবর গোপন রাখেন। মরদেহের পচন ও দুর্গন্ধ ছড়ানো বন্ধে তিনি নানা কৌশল ব্যবহার করেন। ফলে মরদেহ অনেকটা মমির মতো হয়ে গিয়েছিল। পরে তিনি তার মায়ের মরদেহ বাড়ির বেসমেন্টে লুকিয়ে রাখেন।

অস্ট্রিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা হেলমুথ গাফলার জানান, ধরা পড়ার পর ওই ব্যক্তি সবকিছু স্বীকার করেছেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তার আয়ের কোনো পথ ছিল না। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর পেনশনের অর্থ বন্ধ হয়ে গেলে তিনি চলতে-ফিরতে পারতেন না। বাসা ভাড়া দিতে পারতেন না। এমনকি মায়ের শেষকৃত্যও করতে পারতেন না। তাই তিনি এই পথ বেছে নেন।

মায়ের মৃত্যুর খবর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কীভাবে লুকিয়েছেন, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তিনি তার ভাইকে জানান, মা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি কাউকে চিনতে পারছেন না। তাই মায়ের সঙ্গে দেখা করা অতটা জরুরি নয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম/এসকে