নগ্ন ছবি বেচে মাসে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা আয় শিক্ষিকার!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২৬
অর্থের জন্য মানুষ কি না করে! যেমন করেছেন কোর্টনি টিলিয়া নামে একজন শিক্ষিকা। তিনি নিজের নগ্ন ছবি বিক্রি করে মাসে ৭৩ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা) উপার্জন করছেন। খবর আনন্দবাজারের
খবরে বলা হয়, কোর্টনি টিলিয়ার বাড়ি আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে। তিনি অটিস্টিক বাচ্চাদের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামীও একজন শিক্ষক। স্নাতকোত্তর করার পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই শিক্ষকতা করে সংসার চালাতেন। তাদের দু’টি সন্তানও আছে।
কোর্টনি জানিয়েছেন, শিক্ষকতা করে যা উপার্জন হচ্ছিল তাতে সংসার ঠিকমতো চলছিল না। তার উপর মহামারি করোনার কারণে আরও টানাটানির অবস্থা তৈরি হয়। কিভাবে আয় বাড়ানো যায়, সেটা নিয়েই চিন্তাভাবনা শুরু করেন কোর্টনি।
তখনই ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে ছবি শেয়ার করার কথা মাথায় আসে তার। ওই দুই নেটমাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিভাগে নিজের অ্যাকাউন্ট খোলেন কোর্টনি। সেখানে নিজের নগ্ন ছবি পোস্ট করা শুরু করেন।
একটাসময় বিপুলভাবে বেড়ে যায় তার ফলোয়ারের সংখ্যা। ফলোয়ারের সংখ্যা দেখে এরপর অ্যাডাল্ট সাবস্ক্রিপশন সাইট ‘অনলিফ্যানস’-এ নিজের নাম নথিভুক্ত করেন কোর্টনি। এই সাইটেই এর পর নিজের নগ্ন ছবি বিক্রি করা শুরু করেন। কোর্টনির দাবি, বর্তমানে তিনি মাসে ৭৩ লাখ রুপি উপার্জন করছেন।
একজন শিক্ষিকা হয়ে এ কাজ করার জন্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুরা এমনকি স্কুলেও তার সমালোচনা শুরু হয়। সবাই প্রশ্ন তুলেন, শিক্ষক হয়ে শুধুমাত্র উপার্জনের জন্য তিনি কিভাবে এমন কাজ করতে পারলেন? তবে এমন সমালোচনা ও প্রশ্নে কান দেননি কোর্টনি।
দিল্লির সংবাদ সংস্থা স্টারকে কোর্টনি জানান, এ কাজের জন্য স্বামীর পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তাছাড়া গোটা বিশ্বের কাছে তিনি এটাই প্রমাণ করতে চান যে, দুই সন্তানের মা হওয়া সত্ত্বেও তার গ্ল্যামার কমেনি।
কোর্টনি আরও জানান, শিক্ষকতা করে যা আয় হচ্ছিল তাতে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে এ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
শিক্ষকতায় আর ফিরতে চান না বলেও জানিয়েছেন কোর্টনি। তার কথায়, ‘এই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন তার লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ
