ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

জার্মানির দুই রাজ্য নির্বাচনেও এসপিডির জয়

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:০৪  
আপডেট :
 ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৩৮

জার্মানির দুই রাজ্য নির্বাচনেও এসপিডির জয়
ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে এসপিডি দলের এ জয়। ছবি: আল জাজিরা

সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি রোববার জার্মানির দুটি রাজ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া ও বার্লিন রাজ্যেও জার্মান চেন্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বিরোধী দল এসপিডি (সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি) দল সরকার গড়তে চলেছে। ফলে সংসদের উচ্চ কক্ষে দলের শক্তি অক্ষত রইলো।

জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দলের জয়জাত্রা শুধু বুন্ডেসটাগ (জার্মান সংসদের উচ্চ কক্ষ) নির্বাচনেই সীমাবদ্ধ নেই। সামান্য ব্যবধানে হলেও ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে এসপিডি দলের জয় হয়েছে। তবে ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের নেতা আরমিন লাশেট এখনো পরাজয় মেনে না নেওয়ায় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। সমর্থনে বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও লাশেট সরকার গড়ার আশা ছাড়ছেন না।

যে দলের নেতৃত্বেই নতুন সরকার গঠন করা হোক না কেন, ক্ষমতার নিরিখে এসপিডি দল সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত করেছে। জার্মানির সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্ডেসরাট ১৬টি রাজ্যের প্রতিনিধিদের মঞ্চ। সব গুরুত্বপূর্ণ আইন সেখানেও অনুমোদন করাতে হয়। ফলে যে দলের হাতে বেশিরভাগ রাজ্যের রাশ রয়েছে, সেই দলের জোর যথেষ্ট বেশি। রোববার উত্তর পশ্চিমের জনবিরল রাজ্য মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া এবং বার্লিনে এসপিডির জয়ের পর বুন্ডেসরাটে এসপিডি দলের ক্ষমতা অক্ষুণ্ন রইলো।

মুখ্যমন্ত্রী মানুয়েলা শ্ভেসিকের নেতৃত্বে জনবিরল রাজ্য মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়ায় এসপিডি দল প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশাল জয়ের মুখ দেখেছে। সেখানেও সিডিইউ দলের ভরাডুবি হয়েছে। প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের মুখ দেখেছে বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল।

প্রসঙ্গত, সেই রাজ্যেই ম্যার্কেলের নির্বাচনী কেন্দ্র ও বাসস্থান অবস্থিত। এমন স্পষ্ট জয়ের পর এসপিডি জোট সরকার গড়ার একাধিক সুযোগ পাবে। রাজ্যের কাণ্ডারী হিসেবে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমন জয়ের মুখ দেখে মুখ্যমন্ত্রী শ্ভেসিক গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

বার্লিন রাজ্যের নির্বাচনে এসপিডি দলের জয়ের ব্যবধান অবশ্য খুব বেশি নয়। প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে শহরের শাসক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য ফ্রানৎসিস্কা গিফাই। এসপিডি দলের এই নেতাকে পিএইচডি থিসিসে অনিয়মের অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।

গ্রীন পার্টি প্রায় ১৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তার জয়কে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে। ফলে তাকে তিন দলের জোট সরকার গঠন করতে হবে। শুধু লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে এসপিডি দলকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে।

২০২২ সালে জার্মানির চারটি রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিডিইউ নেতা আরমিন লাশেটের নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়াও তার মধ্যে রয়েছে। এসপিডি দলের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকলে এ রাজ্যও সিডিইউ-র হাতছাড়া হতে পারে। রোববারের সংসদ নির্বাচনে এসিপিডি নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে।

২০০৫ সালের পর এসপিডি এমন সাফল্য অর্জন করলো। উত্তরের শ্লেসভিক হলস্টাইন ও দক্ষিণের সারলান্ড রাজ্যেও ২০২২ সালে সিডিইউ পরাজয়ের মুখ দেখলে এসপিডি সংসদের উচ্চ কক্ষে নিজস্ব ক্ষমতা আরও জোরদার করতে পারবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

আরও পড়ুন- জার্মানিতে ম্যার্কেলের দলের হার

বাংলাদেশ জার্নাল / টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত