ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

জার্মানিতে ম্যার্কেল যুগের আনুষ্ঠানিক অবসান

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৩৭  
আপডেট :
 ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৪৪

জার্মানিতে ম্যার্কেল যুগের আনুষ্ঠানিক অবসান
জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যার্কেলকে বিদায় জানান। ছবি: ডয়চে ভেলে

জার্মান রাজনীতির জগতে মঙ্গলবার ছিল ব্যস্ততার দিন। রেকর্ড সংখ্যক সদস্য নিয়ে সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগের নতুন যাত্রা শুরু হলো। জার্মান সংসদের ৭৩৬ সদস্য এ দিন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে তৃতীয় নারী হিসেবে স্পিকারের পদে নির্বাচিত হলেন এসপিডি দলের বেয়ার্বেল বাস। খবর ডয়চে ভেলের।

বিদায়ী ও নতুন স্পিকার সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের সংখ্যা সীমিত রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন, যাতে ২০তম সংসদের এমন অস্বাভাবিক রূপের পুনরাবৃত্তি না হয়। গতবারের তুলনায় ১৪০ জন বাড়তি সংসদ সদস্যের কারণে জার্মানির করদাতাদের উপর বছর ১০ কোটি ইউরোর বোঝা চাপবে বলে করতাদাদের সংগঠন হিসেব করেছে।

এ সব ব্যস্ততার মাঝে এঙ্গেলা ম্যার্কেলের উপস্থিতি সহজে চোখে পড়ার মতো ছিল না। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চ্যান্সেলর এবং তিন দশকেরও বেশি সময় জুড়ে সংসদ সদস্য থাকার পর তিনি এবার নির্বাচনে দাঁড়াননি। তাই বুন্ডেসটাগে ভিআইপি দর্শকের আসনে বসেই তিনি সব আনুষ্ঠানিকতা পর্যবেক্ষণ করলেন।

জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী সরকারকে বিদায় জানালেন। ম্যার্কেলসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের অব্যহতি দিলেন তিনি। জার্মান প্রেসিডেন্ট দেশের কঠিন সময়ে চালকের আসনে ম্যার্কেলের ভূমিকার প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় ম্যার্কেলের সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন জার্মান প্রেসিডেন্ট। ম্যার্কেলের চতুর্থ এবং শেষ কার্যকালে ব্রেক্সিটের মতো ধাক্কা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামলানোর জন্যও স্টাইনমায়ার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তার ভাষণে আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উষ্ণতার ছোঁয়াও দেখা গেছে।

কার্যনির্বাহী সরকারের প্রধান হিসেবেও ম্যার্কেলের ব্যস্ততা শেষ হচ্ছে না। বুধবারই তিনি বার্লিনে জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা উষ্ণতার সঙ্গে তাকে বিদায় জানিয়েছেন। ইতালিতে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন এবং আগামী সপ্তাহে ব্রিটেনের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলনেও তিনি জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, উদারপন্থি এফডিপি ও পরিবেশবাদী সবুজ দল জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে বুধবার থেকে বড় আকারে আলোচনা শুরু করছে। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই সরকার গঠনের লক্ষ্য স্থির করেছেন দলের নেতারা।

সে ক্ষেত্রে ৬ই ডিসেম্বর নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শলৎস শপথ নেবেন। বাস্তবে সেই পরিকল্পনা সত্যি কার্যকর হলে ম্যার্কেল সামান্য কয়েক দিনের জন্য ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে চ্যান্সেলর হিসেবে দীর্ঘতম কার্যকালের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন না।

১৯৮২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত হেলমুট কোল পাঁচ হাজার ৮৭০ দিন জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কমপক্ষে ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারলে তবেই ম্যার্কেল সেই রেকর্ড ভাঙতে পারবেন। তাকে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিচলিত হতে দেখা যায়নি। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে তিনি ‘নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন’ বলে আশা করছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত