ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বর্তমানে এটা এক ভূতুড়ে গ্রাম

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৫৩  
আপডেট :
 ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৪১

বর্তমানে এটা এক ভূতুড়ে গ্রাম
ফাইল ছবি

ভারতর্ষের এমন বহু জায়গা আছে যার জুড়ি মেলা ভার। সেরকমই এক জায়গা ধনুষ্কোডি, যা এককথায় ভারতের শেষ গ্রাম, এবং যেখানে কোনও লোকবসতি নেই। দিনের বেলায় লোক সমাগম থাকলেও সূর্য ডুবতেই নির্জনতা গ্রাস করে এই গ্রামকে। এখানে চলাচলকারী বাস কার্যত সমুদ্রের পানির উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এতকিছুর পরও ধনুষ্কোডি (Dhanushkodi) পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। ধনুষ্কোডি সম্পর্কে বেশ কিছু অবাক করা তথ্য জানা যায়।

ভারতের পড়শি দেশ দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা থেকে ধনুষ্কোডির দূরত্ব মাত্র কুড়ি কিলোমিটার। কিন্তু এই এলাকার সৌন্দর্য এতটাই আকর্ষণীয় যে পর্যটকেরা বারে বারে এখানে ছুটে যান। ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ধনুষ্কোডি।

এটি একসময় জাঁকজমকপূর্ণ এলাকা ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেটা এক ভূতুড়ে গ্রামে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এখানে কোনও জনপ্রাণী বাস করে না। এর কারণ ১৯৬৪ সালের এক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। ওই ঝরে সমুদ্রের জল ভাসিয়ে দেয় পুরো দ্বীপটি। ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর। এরপর থেকেই ধনুষ্কোডি কার্যত পরিত্যাক্ত। তবে দিনের বেলায় পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কোলাহলে গমগম করে। যারা রামেশ্বরম বেড়াতে যান, তারা একবার ধনুষ্কোডি ঘুরে আসেন একবেলা।

তামিলনাড়ুর এই গ্রামটি বিখ্যাত হিন্দু তীর্থস্থান রামেশ্বরমের কাছেই অবস্থিত। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে পাম্বন ব্রিজের মাধ্যমে যুক্ত। সমুদ্রের বুকে শতাব্দীপ্রাচীন একটি রেলসেতুও আছে। যা পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় সমুদ্রের ঢেউয়ের জল ছিটকে আসে ট্রেনের ভিতর। তবে বর্তমানে একটি নতুন রেলব্রিজ তৈরি হচ্ছে প্রাচীন সেতুটির পাশেই।

রামেশ্বরম থেকে ধনুষ্কোডি পর্যন্ত একটি রাস্তা আছে, যা ভারতের শেষ রাস্তা বলেই পরিচিত। এই পথের অনেকটা অংশ জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যায়। ফলে বাস বা গাড়ি ওই জলের ওপরেই চলাচল করে। মনে হবে সমুদ্রের উপর দিয়ে বাস চলছে। যা পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় ব্যাপার।

যদিও ধনুষ্কোডির এই রাস্তাটি অর্থাৎ ভারতের শেষ রাস্তার শেষপ্রান্ত খুবই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে সম্প্রতি। উপর থেকে অনেকটা গিটারের মতো লাগে এই অংশটি। দেশের দক্ষিণের শেষ সীমান্তে বসে সূর্যাস্তও উপভোগ করতে পারেন। তবে সন্ধ্যের পর পরই এলাকা ছেড়ে মূল ভূখণ্ডে বা রামেশ্বরমে ফিরতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত