ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৪৯  
আপডেট :
 ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৩৭

মালয়েশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা
বন্যায় মালয়েশিয়ার অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

মালয়েশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে হওয়া বন্যায় ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

দেশটির সেলাঙ্গোর, কেলান্তান, তেরেংগানু, পাহাং, নেগেরি সেমবিলান এবং মেলাকারার অঙ্গরাজ্যে বন্যার পানি বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব জানান, বন্যায় আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে সহায়তা করতে ও তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে দমকল, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৬৬ হাজারেরও বেশি সদস্যকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যবর্তী বর্ষাকালে মালয়েশিয়ায় বন্যা সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে; কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টি, যা শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। আর তাতে পশ্চিমাঞ্চলীয় সেলাঙ্গর রাজ্য বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।

রাজধানী কুয়ালালামপুরকে ঘিরে থাকা সবচেয়ে সম্পদশালী এ রাজ্যটি সবচেয়ে জনবহুলও। বন্যা পরিস্থিতি অনুসরণ করা সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার ১৬টি রাজ্য ও ফেডারেল অঞ্চলের মধ্যে ৮টিতে শনিবার পানির স্তর বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছিল।

প্রধানমন্ত্রী সাবরি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেলাঙ্গরের পরিস্থিতি কিছুটা বিশৃঙ্খল। অন্যান্য রাজ্যে, বর্ষার জন্য আগেই প্রস্তুতি নেয়া হবে। কিন্তু সেলাঙ্গরে প্রায় হঠাৎ করেই এমনটি ঘটেছে।’ তিনি জানান, রাজ্যটির প্রায় ৪ হাজার লোককে তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

কুয়ালালামপুরসহ ক্লাং উপত্যকার বেশ কিছু এলাকাও রেহাই পায়নি। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর পোর্ট ক্লাং এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার কারণে জাহাজে মাল আনা নেয়ার প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।

শনিবার সকালে মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ সেলাঙ্গোর, কুয়ালালামপুর এবং পাহাং-এ একটানা মুষলধারে বৃষ্টির জন্য লাল সতর্ক সংকেত জারি করেছে। বিভাগটি পেরাক, কেলান্তান, পুত্রাজায়া এবং নেগেরি সেম্বিলানের কিছু অংশে অবিরাম ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও দিয়েছে, যা রোববার পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

পেটালিং এবং ক্লাং জেলার কিছু অংশের কয়েক ডজন বাসিন্দা শুক্রবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণের কারণে বাড়ি ফেরার সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গাড়িতেই রাত কাটিয়েছেন।

শাহ আলমের সেতিয়া আলম শহরে, মেরু থেকে বুকিত রাজার সংযোগকারী প্রধান সড়কগুলো শুক্রবার গভীর রাত থেকে ২ মিটার থেকে ৩ মিটার গভীর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এর কারণে দেরিতে বাড়ি ফেরা বাসিন্দারা আটকা পড়েছিলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি।

সেলাঙ্গোরের শাহ্ আলম জেলার বাসিন্দা আশরাফ নুর আজম (২৬) জানান, পরিস্থিতি এত খারাপ হয়ে পড়বে তা ধারণাও করতে পারেননি তিনি। এক পর্যায়ে নিজের গাড়িটি মহাসড়কের পাশে ছেড়ে আসতে বাধ্য হন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত