অগ্ন্যুৎপাত যেন পরমাণু বিস্ফোরণ, টোঙ্গা দ্বীপে বহু মৃত্যুর শঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০১ আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:২২
সমুদ্রে এক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্য স্পষ্ট দেখা গেল মহাকাশ থেকেও। পরমাণু বিস্ফোরণের মতো ধোঁয়ার বেলুনের সেই ছবি উপগ্রহের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমন বিস্ফোরণ হাজার বছরে একবার ঘটে। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপে সুনামি আছড়ে পড়েছে। টোঙ্গা নামে ওই দ্বীপটিতে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পও হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দ্বীপের বহু বাসিন্দার। সংখ্যাটা কত? তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি টোঙ্গা প্রশাসন।
গোটা দ্বীপটিই বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এ ঘটনায়। আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে ঢেকে গেছে আকাশ। উপকূলবর্তী এলাকার একটি বড় অংশ জলের নীচে। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না আকাশ।
আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে পুরো এলাকাই ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। ফলে ইন্টারনেট, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে আকাশপথে নজরদারিও চালানো যাচ্ছে না।
প্রশান্ত মহাসাগরের উপর টোঙ্গা আসলে ১৬৯টি দ্বীপের সমষ্টি একটি দেশ। ওসিয়ানিয়ার অন্তর্ভুক্ত এ দ্বীপরাষ্ট্রের সবচেয়ে কাছের দেশ হল নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন জানিয়েছেন, তারা টোঙ্গা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। কিন্তু সফল হননি।
অন্যদিকে ভৌগলিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই অগ্ন্যুৎপাতে একটি নতুন দ্বীপ তৈরি হয়েছে টোঙ্গায়। গত ১০ বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটল এমন ঘটনা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সুনামির কারণে প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে, তা যাচাই করতে একটি বিমান টোঙ্গা দ্বীপে পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) বিবিসিকে জানিয়েছে, টোঙ্গা দ্বীপের ৮০ হাজার বাসিন্দা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি