ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘মুসলিম’ নুসরাতের অভিযোগে বেকায়দায় বরিস সরকার, তদন্তের নির্দেশ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৩  
আপডেট :
 ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:০২

‘মুসলিম’ নুসরাতের অভিযোগে বেকায়দায় বরিস সরকার, তদন্তের নির্দেশ
নুসরাত গানি। ছবি: আল জাজিরা

মুসলিম হওয়ার কারণে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন- সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী নুসরাত গানির এমন দাবির পেছনের কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এ নির্দেশ দেন। সোমবার বরিস জনসনের মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সরকারের সাবেক গণপরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী নুসরাতের দাবি ব্রিটেনে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছে। এ নিয়ে কিছুটা বেকায়দায় করেছে বরিস জনসনের সরকার।

ওই মুখপাত্র বলেন, ‘নুসরাত গানি এমপির করা একটি অভিযোগে তদন্ত শুরু করতে কেবিনেট অফিসকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

এর আগে জনসন রক্ষণশীল দলের মাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের জন্য নুসরাতকে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

৩৯ বছর বয়সী নুসরাত গানি বলেছিলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে তিনি চাকরি হারিয়েছিলেন তার ইসলামে বিশ্বাসের কারণে।

তিনি বলেছিলেন, ওই সময় ডাউনিং স্ট্রিটে রদবদলের বৈঠকে ইসলাম একটি ইস্যু হিসেবে গণ্য হয়েছিল। সরকারের একজন হুইপ তাকে জানিয়েছিলেন যে, তার মুসলিম হওয়াটা একটি সমস্যা হিসেবে উত্থাপিত হয়েছিল বৈঠকে।

তার মুসলিম মহিলা মন্ত্রী পদমর্যাদা নাকি সহকর্মীদের জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশ গড়ে তুলছিলো।

নুসরাতের এ অভিযোগের কেন্দ্রে ছিলেন বরিস সরকারের চিফ হুইপ মার্ক স্পেন্সার। এ প্রসঙ্গে মার্ক স্পেন্সার বলেন, ‘এ অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সেগুলোকে মানহানিকর বলে মনে করি। আমি কখনোই এই ধরণের কিছু তাকে বলিনি।’

স্পেন্সার জানান, গত মার্চে প্রথম যখন বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিলো, তখন নুসরাত গানি বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যন্তরীণ তদন্তকার্যে রাখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত