আল জাজিরার প্রতিবেদন
সাংবাদিক শিরিনকে হত্যার আগে কোনো লড়াই হয়নি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২২, ১৯:৩১
নতুন একটি ভিডিও’র ভিত্তিতে কাতারের দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা দাবি করেছে, তাদের নিহত হওয়া সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যার আগমুহূর্তে ঘটনাস্থলে কোনো লড়াই হয়। পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত শান্ত ও নীরব ছিল।
এ দাবি ইসরায়েলের করা দাবির সঙ্গে বৈপরীত্য দেখায়। ইসরায়েল দাবি করেছে, সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে শিরিনের। এ হত্যার জন্য তারা দায়ী নয়।
গত ১১ মে পশ্চিম তীরে নিহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন। তার সহকর্মী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তিনি।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের খবর সংগ্রহ করছিলেন শিরিন। এ সময়ই হত্যার শিকার হন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, শিরিন ও অন্য সাংবাদিকরা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপরই শোনা যায় গুলির শব্দ।
গুলি শুরু হলে ইসরায়েলের বাহিনী যেখানে অবস্থান করছিল, সেখান থেকে লোকজন পালিয়ে যেতে শুরু করেন। শিরিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে একজন ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিক শিরিনের হত্যা বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য ব্যাপক আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি তদন্ত : বৃহস্পতিবার একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, সাংবাদিক শিরিনকে যে বন্দুক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য সেই বন্দুকটি শনাক্ত হয়েছে। তবে তিনি এ-ও যোগ করেন যে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বুলেটটি হস্তান্তর না করা পর্যন্ত তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনিরা বলেছেন, তারা তাদের নিজ উদ্যোগে তদন্ত পরিচালনা করছেন এবং অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আস্থার অভাবের কারণে ইসরায়েলিদের কাছে বুলেটটি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করেছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা শিরিনের মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে পারে।
বাংলাদেশ জার্নাল/টিটি