ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: ডব্লিউএইচও

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২২, ০৯:৩৩

মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: ডব্লিউএইচও
ছবি: সংগৃহীত

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি বিশ্বের প্রায় ১৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরই মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করেছে বেলজিয়াম, আর কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ।

তবে যেসব দেশগুলোতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি শনাক্ত হয়নি, সেসব দেশগুলোতে প্রাদুর্ভাব এখনো নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ভাইরাসটির কারণে ১০০ জনের দেহে ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে এবং জ্বর এসেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মাঝে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুব কম।

মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

সোমবার (২৩ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও'র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, রোগটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ বন্ধ করতে চাই। আমরা আফ্রিকার বাইরের দেশগুলোতে এটি করতে পারি।

আফ্রিকার বাইরে ১৬টি দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

আফ্রিকার বাইরে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হওয়া সত্ত্বেও বলা হচ্ছে, মাঙ্কিপক্স মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে এই হুমকি তুলনা করার মতো নয়।

ভ্যান কেরখোভ বলেন, দুইজনের ত্বকের সংস্পর্শে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটছে। যাদের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই হালকা রোগে আক্রান্ত।

ডব্লিউএইচও'র অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি পরিবর্তিত (মিউটেশন) হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।

ডব্লিউএইচও'র গুটিবসন্ত বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রোসামুন্ড লুইস বলেন, এই গোষ্ঠীর ভাইরাসগুলো নিজেদের পরিবর্তন (মিউটেট) করে না এবং তারা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এক ধরনের মানুষের অন্যদের তুলনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকি রয়েছে।

ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের ডা. আন্দ্রেয়া অ্যামন বলেন, বৃহত্তর জনসংখ্যার মধ্যে মাঙ্কিপক্স বিস্তারের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটির আরও বিস্তারের সম্ভাবনা যেমন একাধিক মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সময় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

মাঙ্কিপক্সকে আগে যৌনবাহিত সংক্রামক হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। তবে এটি শারীরিক সম্পর্কের সময় স্থানান্তর হতে পারে।

ডা. অ্যামন পরামর্শ দিয়ে বলেন, দেশগুলোর গুটিবসন্ত টিকার সহজলভ্যতার বিষয়টি পর্যালোচনা করা উচিত, যা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধেও কার্যকর।

সূত্র : বিবিসি

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত