ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাশিয়ার সঙ্গে এরদোগানের কূটনৈতিক সর্ম্পক জোরদার, চিন্তিত পশ্চিমারা

  আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১২:৫৬  
আপডেট :
 ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৩:০২

রাশিয়ার সঙ্গে এরদোগানের কূটনৈতিক সর্ম্পক জোরদার, চিন্তিত পশ্চিমারা
ছবি: সংগৃহীত

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ন্যাটো মিত্র এবং সম্ভাব্য ইইউ সদস্য তুরস্ক রাশিয়ার সাথে তার সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। সম্প্রতি সোচিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বৈঠক পশ্চিমাদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় আরটি।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছয়জন পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেছেন, তারা বাণিজ্য ও জ্বালানিতে সহযোগিতা করার জন্য রাশিয়া ও তুরস্কের পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তিত। একজন ইইউ কর্মকর্তা বলেছেন, আঙ্কারা এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ককে আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ব্রাসেলস। অন্য একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এরদোগানের আচরণ ‘খুবই সুবিধাবাদী’, আমাদের উদ্বেগের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিৎ তুরস্কের।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছেন, তুরস্কের উপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্রাসেলসে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে স্বতন্ত্র সদস্যরা সম্ভবত দেশটির সাথে তাদের আর্থিক বা বাণিজ্য সহযোগিতা হ্রাস করতে পারে। যদিও ওয়াশিংটন সতর্ক করেছে, তারা রাশিয়ার উপর তার নিষেধাজ্ঞাগুলি লঙ্ঘনকারী দেশগুলিকে ‘সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা’ দিয়ে শাস্তি দেবে, তবে মার্কিন বা ইইউ তুরস্কের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেবে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।

যদিও ১৯৫২ সাল থেকে একজন ন্যাটো সদস্য এবং ১৯৮৭ সাল থেকে একজন ইইউ আবেদনকারী, সম্প্রতি ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে তুরস্ক বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে উভয় ব্লকের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এরদোগান কিয়েভ এবং মস্কোর সাথে তার কূটনীতিকে 'ভারসাম্যপূর্ণ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিতে অস্বীকার করেছেন। তুরস্কই একমাত্র ন্যাটো দেশ যারা এ ধরণের শাস্তি দেয়নি। এর আগে শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে চার ঘণ্টার বৈঠকের পর এরদোগান তুরস্কে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এদিকে তুরস্ককে কোনো বাধা ছাড়াই তেল, গ্যাস এবং কয়লা সরবরাহ করবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুতিন। তবে আঙ্কারা এই গ্যাসের কিছু রুবেলে পরিশোধ করবে।

উল্লেখ্য, দুই দেশের ১০০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লেনদেনের লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং লিবিয়া ও সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত