ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলার রাজ্যপাল থেকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি, কে এই ধনকড়

  আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৫:০৫

বাংলার রাজ্যপাল থেকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি, কে এই ধনকড়
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের নতুন উপরাষ্ট্রপতি হলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শনিবার কংগ্রেসের প্রার্থী মার্গারেট আলভাককে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন তিনি। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে বিজেপির একক শক্তিতেই ধনখড়ের জয় নিশ্চিত ছিলো। তবে তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১০ আগস্ট। তার পরেই শপথ নেবেন ধনকড়।

রাজস্থানের অখ্যাত গ্রাম থেকে দেশীয় রাজনীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারীর আসনে আরোহণ করলেন, যা জগদীপ ধনকড়ের রাজনৈতিক জীবনে নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য।

৭১ বছরের ধনকড়কে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। আইনজীবী হিসাবে পেশাদার জীবন শুরু করলেও এক সময় তা ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছিলেন ধনকড়। এরপর একে একে বিধায়ক থেকে সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যপালও হয়েছেন। বিধায়ক হওয়ার আগেই সাংসদ হয়েছিলেন ধনকড়। তবে তার প্রথম রাজনৈতিক দল ছিলো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জনতা দল।

জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ মে। রাজস্থানের এক জাঠ কৃষকের পরিবারে জন্ম হয়েছিলো ধনকড়ের। চিত্তৌরগড়ের সৈনিক স্কুলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাও করেছেন নিজের রাজ্যে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করেন ধনকড়। এক কালে রাজস্থান হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পশ্চিবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বভার নেয়ার পরে নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। সেই দায়িত্ব সামলানোর আগে একাধিক পদে ছিলেন ধনকড়। জনতা দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের আগেই অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দেখা গিয়েছে তাকে। এ বার আরও বড় দায়িত্বে।

বেতন ও সুবিধা কতটা বাড়বে ধনকড়ের?

রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হলে রোজগার অনেকটাই বেড়ে যাবে ধনকড়ের। সেই সঙ্গে অন্যান্য সুযোগসুবিধাও রাজ্যপালের তুলনায় উপরাষ্ট্রপতির বেশি। উপরাষ্ট্রপতি দিল্লিতে একটি বড় বাংলো যেমন পান, তেমন অফিস চালানোর খরচও অনেকটাই বেশি হয়।

২০১৮ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি থেকে রাজ্যপাল সকলের বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন আসে। বর্তমানে ভারতে রাজ্যপালদের মাসিক বেতন হয় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। আগে ছিলো ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

সেই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বেতন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয় মাসিক ৪ লাখ টাকা। রাষ্ট্রপতির বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে হয় মাসিক ৫ লাখ টাকা।

উপরাষ্ট্রপতি বেতন ছাড়াও অনেক সুবিধা পান। বাড়ি, পরিবহণ, চিকিৎসা সংক্রান্ত সব খরচই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। কখনও উপরাষ্ট্রপতিকে যদি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়, তখন যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ও বেতনও রাষ্ট্রপতির সমান হয়। আর উপরাষ্ট্রপতি অবসরের পরে মাসে দুইলাখ টাকা করে পেনশন পান।

এদিকে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালদের তুলনায় বেতন অনেকটাই কম প্রধানমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর মূল বেতনও একজন সাংসদের সমান। কারণ, তিনিও প্রথমে সাংসদ, পরে প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মূল বেতন এক লাখ টাকা। সেই সঙ্গে সংসদীয় এলাকা ভাতা পাওয়া যায় ৭০ হাজার টাকা। অফিস চালানোর খরচ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে অফিসের খরচ ২০ হাজার আর কর্মীদের বেতনের জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা। এর বাইরে অতিথি আপ্যায়ন বাবদ প্রধানমন্ত্রী মাসে পান তিন হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত