ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জম্মু ও কাশ্মীরে ‘অ-স্থানীয়দের’ ভোট দেওয়ার অনুমতি, বিরোধীদলগুলোর ক্ষোভ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৪:৪০  
আপডেট :
 ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪৭

জম্মু ও কাশ্মীরে ‘অ-স্থানীয়দের’ ভোট দেওয়ার অনুমতি, বিরোধীদলগুলোর ক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকায় অ-স্থানীয়দের প্রথমবারের মতো জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটার হিসাবে নিবন্ধন করার অনুমতি দেবে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে প্রায় ২৫ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর অধীনে বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার মাধ্যমেই অ-কাশ্মীরিদের ভোট দেওয়ার এবং জমির মালিকানার অনুমতি দেয়া হল।

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা হিরদেশ কুমার বলেছেন, ভোটের আগে এই অঞ্চলে ২০ লাখেরও বেশি নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা এই অঞ্চলে বিদ্যমান ৭৬ লাখ ভোটারের সংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।

তিনি উল্লেখ করেছেন, ৩৭০ বাতিল করার পর, যারা আগে ভোট দিতে পারেনি তারা এখন ভোটার হিসাবে নিবন্ধন করতে পারবে, অ-কাশ্মীরিসহ। এরফলে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাসকারী বা কর্মরত যে কেউ সেখানে ভোট দিতে পারেন।

এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই পদক্ষেপের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি ‘বিপজ্জনক প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রকৃত ভোটারদের সমর্থনের বিষয়ে বিজেপি কি এতটাই অনিরাপদ যে আসন জিততে অস্থায়ী ভোটার আমদানি করতে হবে?

তিনি দাবি করেন, বিজেপি ভালো করেই জানে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হলে তারা জয়ী হতে পারবেনা।

আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, বিজেপি নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। অ-স্থানীয়দের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া স্পষ্টতই নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করবে ৷ বিজেপির আসল লক্ষ্য হল স্থানীয়দের ক্ষমতাচ্যুত করে তাদের শাসন চালিয়ে যাওয়া।

এক সংবাদ সম্মেলনে মেহবুবা জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির নীতির সমালোচনা করার সময় নাৎসি জার্মানি এবং ফিলিস্তিনের উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র হুমকির মুখে। নির্বাচনে জিততে তারা কেবল ২৫ লাখ বিজেপি ভোটারকে পিছনের দরজা দিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য জম্মু ও কাশ্মীর চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচিত সরকার ছাড়াই কেন্দ্রীয় শাসনে রয়েছে। আগামী বছর নির্বাচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত