ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের ক্ষতিসাধন হবে আত্মহত্যার শামিল: গুতেরেস

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১২:২৫

জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের ক্ষতিসাধন হবে আত্মহত্যার শামিল: গুতেরেস
ছবি: সংগৃহীত

জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের যেকোনো ক্ষতিসাধন হবে আত্মহত্যার শামিল। ইউক্রেনে লভিভে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বৃহস্পতিবারই চলমান যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার উদ্দেশে ইউক্রেন সফর করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

লভিভ শহরে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সাথে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা। এ সময় পরমাণু কেন্দ্রে সামরিক কর্মকান্ডের নিন্দা জানান এই তিন নেতা। একই সাথে গত দু’সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রটি ঘিরে হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। গুতেরেস বলেন, যেকোনো মুহূর্তে মিসাইলের আঘাতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়াতে পারে, যা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিপর্যয় এড়াতে এই অঞ্চলটিকে যত দ্রুত সম্ভব বেসামরিকীকরণে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই তিন নেতা।

এদিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হামলার জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। স্থাপনাটিকে সেনাঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ মস্কোর বিরুদ্ধে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, জাপোরিঝিয়া কেন্দ্র ঘিরে ‘আরেকটি চেরনোবিল’ বিপর্যয়ের বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান আরও বলেন, যুদ্ধ অবসানে গত মার্চ মাসে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সাম্প্রতিক ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক স্থাপনা। গত মার্চে পারমাণবিক কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পারমাণবিক কেন্দ্রটির আশপাশে ভারী গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য কিয়েভ ও মস্কো পরস্পরকে দায়ী করছে।

শুক্রবার কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী বন্দর নগরী ওডেসা সফর করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট । জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে সম্প্রতি এই বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি আবারও শুরু হয়েছে।

ইউক্রেন সফরের পর আগামী শনিবার গুতেরেস ইস্তাম্বুলের যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এই সমন্বয় কেন্দ্রটি রাশিয়ান, ইউক্রেনীয়, তুর্কি ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এবং তারা ইউক্রেনের শস্য ও সারের রপ্তানির তদারকি করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত