ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২২, ১৩:৫৫
ইথিওপিয়ার উত্তর টাইগ্রে অঞ্চলের রাজধানী মেকেলের একটি খেলার মাঠে শুক্রবার বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসা কর্মকর্তারা। এই সপ্তাহে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চার মাস পুরনো যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর এটি প্রথম হামলা।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে তবে ফেডারেল সরকারের একজন মুখপাত্র বেসামরিক হতাহতের কথা অস্বীকার করেছেন।
আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত টিগ্রাই টেলিভিশন এই হামলার জন্য ফেডারেল সরকারকে দায়ী করেছে। কেননা ইথিওপিয়ার আকাশসীমায় অন্য কোনো সামরিক বিমান চলাচল করে না।
এর আগে ইথিওপিয়ান সরকার টাইগ্রে-র বাসিন্দাদের সামরিক সুবিধা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছিল যে এটি টাইগ্রে বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য হামলা চালাতে পারে।
ফেডারেল সরকারের মুখপাত্র লেগেসে টুলু বলেছেন, বেসামরিক হতাহতের খবর ‘মিথ্যা এবং বানোয়াট নাটক’। তিনি বেসামরিক স্থাপনাগুলিতে সরকারি হামলার কথা অস্বীকার করেন এবং বলেছিলেন যে তারা শুধুমাত্র সামরিক স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।
মেকেলের আইডার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কিব্রোম গেব্রেসেলাসি টুইটারে বলেছেন, হাসপাতালে দুই শিশুসহ চারজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হামলাটি একটি শিশুদের খেলার মাঠে হয়েছে। তবে কাছাকাছি কোন সামরিক স্থাপনা ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে টিগ্রাই টিভিতে প্রকাশিত ফুটেজে ছাদ উড়িয়ে দেওয়া একটি বিল্ডিং দেখানো হয়েছে। মেকেলের একটি মানবিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে শুক্রবার শহরে একটি বিস্ফোরণ এবং বিমান বিধ্বংসী গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
২০২০ সালের নভেম্বরে টাইগ্রেতে যুদ্ধ শুরু হয় এবং এক বছর আগে আফার এবং আমহারার প্রতিবেশী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। গত নভেম্বরে, টাইগ্রিয়ান বাহিনী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হয় কিন্তু সরকারী বাহিনীর বাধায় পিছিয়ে যায়।
উভয় পক্ষ বেশ কয়েকমাস লড়াই করার পরে সরকার একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। পরে মার্চ মাসে উভয় পক্ষই একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে এই সপ্তাহে যখন লড়াই শুরু হয়েছিল, তখন উভয়েই একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করেছিল
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর