ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:৩২

রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে
রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে বলছে জাতিসংঘ । ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনে বেসামরিক এলাকায় বোমা, বেসামরিক মানুষজনকে অত্যাচার, যৌন নির্যাতন ও হত্যা করেছে রুশবাহিনী। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনে রুশ হামলার সাত মাস পূর্ণ হলো। যুদ্ধের সাত মাসের প্রাক্কালে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা এসব কথা বলেছেন।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুদ্ধাপরাধবিষয়ক তদন্তকারী দলের প্রধান এরিক মোজ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে তাদের অভিমত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিশন যেসব তথ্য প্রমাণ পেয়েছে, তার আলোকে বলা যায়, ইউক্রেনে রুশবাহিনীর দ্বারা বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা সচরাচর এমন অভিমত দেন না। তাই যুদ্ধের সাত মাসে এসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের এমন অভিমত বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে রুশবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ খুঁজতে গত মে মাসে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল গঠন করে জাতিসংঘের কাউন্সিল অব ইনকোয়ারি (সিওআই)। এই দলের তিনজন তদন্তকারী গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে প্রথমবার মৌখিকভাবে তাদের অভিমত জানিয়েছেন। তারা জানান, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দেশটির চেরনিহিভ, খারকিভ ও সুমি অঞ্চলে বিভিন্ন ঘটনা সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এসব অঞ্চলে রুশবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। এখন তারা আরও বিস্তারিত তথ্য প্রমাণ খুঁজছেন।

মোজ বলেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনা ও জনবহুল এলাকায় হামলা চালিয়েছে, বোমা ফেলেছে। এসব ঘটনায় বেসামরিক মানুষজনের প্রাণ গেছে। তারা ক্ষতির শিকার হয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইনে যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

পরিষদকে এরিক মোজ আরও জানান, তারা তদন্তের কাজে ইউক্রেনের যেসব এলাকা ভ্রমণ করেছেন, সেখানে রুশ বাহিনীর দ্বারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক মানুষকে পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে। অনেকের মাথায় গুলি করা হয়েছে। অনেককে গলা কেটে হত্যা করেছে রুশবাহিনী।

ইউক্রেনের ১৬টি শহর ও বসতিতে রুশবাহিনীর পরিচালিত এমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত করছে জাতিসংঘ। এরিক মোজ জানান, এ ছাড়াও ইউক্রেনের আরও অনেক জায়গায় রুশবাহিনীর আইনবিরুদ্ধ কাজের অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এসব অভিযোগের নথিপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে।

এরিক মোজ জানান, ভুক্তভোগী শিশু ও নারীদের বয়স ৪ থেকে ৮২ বছরের মধ্যে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শেষ হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনতে পারবেন জাতিসংঘের তদন্তকারীরা।

জাতিসংঘের তদন্তকারী ব্যক্তিরা যখন রুশ যুদ্ধাপরাধ নিয়ে নিজেদের অভিমতের কথা জানিয়েছে, ঠিক তখনই ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্বাঞ্চলের ইজিয়াম শহরে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবরে ৪৩৬ জনের মরদেহ রয়েছে।

তাদের অভিযোগ, এসব মানুষ রুশবাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩০টি মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ইউক্রেনের অনেক শহরে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে ইউক্রেন।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ জার্নাল/মনির

  • সর্বশেষ
  • পঠিত