আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৫১ আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১৪:১২
জাপানের দিকে আরো দুইটি মিসাইল ছুঁড়লো উত্তর কোরিয়া। সিওল এবং টোকিও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া যে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, দুইটিই স্বল্পদূরত্বের। দুইটি মিসাইলই সি অফ জাপানে গিয়ে পড়েছে। এনিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ষষ্ঠবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো দেশটি।
এর আগে মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেণাস্ত্র ছোঁড়ে, যা জাপান ছাড়িয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। তারপরই বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া দুইটি করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার এই আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আর উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে, তাও গ্রহণযোগ্য নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ২২ মিনিটের ব্যবধানে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৫০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টি ৯০০ কিলমিটার দূরে গিয়ে সমুদ্রে পড়ে।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাদা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০ কিলোমিটার উপর দিয়ে গিয়েছে। এই বিবরণ থেকে মনে করা হচ্ছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের অনুকরণে তৈরি মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। মিসাইল ডিফেন্সকে বোকা বানাতে খুব নীচ দিয়ে যায় এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র।
বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার এক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিওল এবং ওয়াশিংটন এই এলাকায় সামরিক মহড়া করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। অ্যামেরিকা এয়ারক্র্য়াফট কেরিয়ার ইউএসএস রোনাল্ড রেগন দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে মোতায়েন করেছে। তারও নিন্দা করেছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, উত্তর কোরিয়া এই দুই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করছে রাশিয়া ও চীন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন দূতের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া দুইটি দেশের কাছ থেকে সুরক্ষা পাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য দেশ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি গেং শুয়াং বলেছেন, চাপ দেয়ার জন্য কড়া কথা না বলে আলোচনায় বসা উচিত। রাশিয়ার দূতের বক্তব্য, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোনো লাভ হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছে বলেই এই অবস্থা হয়েছে।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর
