ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে ১০শতাংশ কোটা রাখলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০০:৪৮

উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে ১০শতাংশ কোটা রাখলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ছবি: সংগৃহীত

অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পক্ষেসোমবার রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ।

প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে এই রায় দেন। প্রধান বিচারপতি ললিত ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মত দিলেও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী ও বিচারপতি জে জে পর্দিওয়ালা সংরক্ষণের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, সরকারি এই সিদ্ধান্ত সংবিধান লঙ্ঘনকারী নয়।

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনী এনে অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল শ্রেণির জন্য সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়।

সংশোধনীতে বলা হয়, যে প্রার্থীদের পরিবার কর দেওয়ার উপযোগী নয়, অর্থাৎ যাদের বার্ষিক আয় ৮ লাখ রুপির কম, তাদের জন্য ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষিত থাকবে। কংগ্রেসসহ বিরোধীরা এই আইনের বিরোধিতা না করলেও তামিলনাড়ু রাজ্যসহ বহু সংগঠন মোদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হন।

এ মামলা নিয়ে প্রথমে তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। পরে সেই বেঞ্চ এই মামলা পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করেন। টানা সাত দিন শুনানি শেষে গত সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ আদালত রায় স্থগিত রাখেন।

বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী বলেন, কোটা সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই সাংবিধানিক কাঠামো ও সাম্যের নীতি লঙ্ঘনকারী নয়। বরং এতে সমাজে সমতা রক্ষার কাজ সহজ হবে। দরিদ্র ব্যক্তিদের মূল স্রোতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীও মনে করেন, জেনারেল ক্যাটাগরির মানুষের সঙ্গে গরিবদের সমানভাবে তুলনা হয় না। এই ধরনের শ্রেণি বিভাগে সমানাধিকারের নিয়ম লঙ্ঘিত হয় না।

সংখ্যাধিক্যের এই রায়ে মত দেননি প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট। তারা মনে করেন, এই সংরক্ষণ সংবিধানের মূলনীতি ও আদর্শের বিরোধী, বেআইনি ও বৈষম্যমূলক। প্রধান বিচারপতি ললিতের আমলে এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৮ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত অবসর গ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত