ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

পানি, বিদ্যুৎহীন ‘স্বাধীন’ খেরসনের রাস্তায় চলছে উৎসব

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৩০  
আপডেট :
 ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৪১

পানি, বিদ্যুৎহীন ‘স্বাধীন’ খেরসনের রাস্তায় চলছে উৎসব
রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাসে মেতছেন খেরসনবাসী। ছবি: সংগৃহীত

এক টানা ৮ মাস লড়াইয়ের পর রুশ সৈন্যদের হঠিয়ে ইউক্রেনের বন্দর শহর খেরসন পুনর্দখল করেছে কিভের বাহিনী। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরের প্রতি ইঞ্চিতে এখনও রয়ে গেছে লড়াইয়ের ক্ষত। খাবার পানি নেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট সংযোগও। তাতেও ‘ডোন্ট কেয়ার’ খেরসনবাসী পথে নেমে উচ্ছ্বাসে মাতছেন। স্বাধীনতা উদ্‌যাপন করছেন জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, গলা ফাটিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে।

ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর প্রথম দিকেই এই বন্দর শহরের দখল নেয় রুশবাহিনী। ইউক্রেনের উপর ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধির জন্যও রাশিয়ার এই শহরের উপর দখল রাখা প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেন সেনার ধারাবাহিক হামলার মুখে খেরসন অঞ্চলে নিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া। খেরসন ছাড়া আশপাশের এলাকাগুলি থেকেও পিছু হটেছে রুশ সেনা। আর এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উল্লাসে মাততে দেখা গেল খেরসনকে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নতুন করে দখল নেয়ার পর মাস ধরে রুশ সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া খেরসনবাসীদের শুক্রবার শহরের রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে।

শহরের যে সব বড় বড় বিল্ডিং এখনও অক্ষত, তারা সেখানে উঠে উড়িয়ে দিচ্ছেন জাতীয় পতাকা। গোটা শহরে পানি-বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট সংযোগ, কিছুই নেই। কিন্তু তাকে ‘ডোন্ট কেয়ার’ বলে পথে যেন ঢল নেমেছে মানুষের। প্রত্যেকেই আত্মহারা। স্বাধীনতার স্বাদ তাদের জিভে, ঠোঁটে, গায়ে।

এদিকে স্বাধীন খেরসনে ঢোকার পর প্রথম যে দৃশ্য দেখে চমকে উঠছেন বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। যেখানে ইউক্রেনের সেনাকে বীরের সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে গলিতে গলিতে। ইউক্রেন সেনাদের আলিঙ্গন এবং তাদের সঙ্গে সেলফি তুলে উল্লাস করতে দেখা যায় খেরসনবাসীদের।

ইউক্রেন সেনাদের আলিঙ্গন এবং তাদের সঙ্গে সেলফি তুলে উল্লাস করছেন খেরসনবাসী

শহরের এক বাসিন্দা রবার্টসন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, এখানে সবাই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। পার্কে পার্কে চলছে আনন্দ করা। ইউক্রেনীয়রা প্রাণ ঢেলে ভালবাসছে দেশের সেনাকে। যেখানেই তাদের দেখা মিলছে, সবাই চাইছে এক বার বুকে জড়িয়ে ধরতে। স্বাধীন হয়ে যে এত আনন্দ, আগে জানতে পারিনি।

উল্লেখ্য, খেরসন শহর-সহ নিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে নদীটির পূর্ব তীরে নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেছে মস্কো। সেখানেই রুশ সেনা বর্তমানে অবস্থান করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: আনন্দবাজার

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত