ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিদ্যুতের সংকট দূর করতে সংগ্রাম করছে ইউক্রেন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫২  
আপডেট :
 ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪৭

বিদ্যুতের সংকট দূর করতে সংগ্রাম করছে ইউক্রেন
রুশ সামরিক হামলা। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সময়ে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে রুশ সামরিক বাহিনী। টানা নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের কারণে ক্রমশ কাবু হয়ে পড়ছে ইউক্রেন। রুশ হামলার পর সৃষ্ট পানি ও বিদ্যুতের সংকট থেকে মুক্ত হতে কার্যত সংগ্রাম করছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দেশের বিদ্যুতের চাহিদার ৫০ শতাংশ বর্তমানে পূরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

বিবিসি আরও জানায়, ইউক্রেনজুড়ে তুষারপাত এবং সাব-জিরো বা শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রার ঠান্ডা আবহাওয়া-সহ দেশটিতে এখন শীত মৌসুম শুরু হচ্ছে। এতে করে হাইপোথার্মিয়ায় সারা দেশে মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাজধানী কিয়েভসহ ১৫টি অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিয়ে ‘সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি’ দেখা দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। মূলত, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।

এর মধ্যে গত মাসে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর বেশ কয়েক দফায় ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া কার্যত ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি চালায়।

বিবিসি বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর গত সপ্তাহেই ইউক্রেনে সবচেয়ে ভারী বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। ওই হামলায়ও ইউক্রেনীয় জ্বালানি অবকাঠামো এবং বেসামরিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিলো।

দেশটির পাওয়ার অপারেটর ইউক্রেনারগো বলেছে, মূল অবকাঠামো ঠিক করার অগ্রাধিকার থাকলেও এগুলোর মেরামত এখন আরও বেশি সময় নিচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত