ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

তেলের বেঁধে দেয়া দাম মানবে না রাশিয়া

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪২

তেলের বেঁধে দেয়া দাম মানবে না রাশিয়া
প্রতিকী ছবি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সঙ্গতি রেখে শুক্রবার রাশিয়ান তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে বেঁধে দিয়েছে জি৭ এবং অস্ট্রেলিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ক্রেমলিন হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া তার তেলের দামের সীমা মানবে না এবং কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তেলের মূল্য নির্ধারণের জন্য জবাব দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

বার্তা সংস্থা আরআইএ তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, পশ্চিমাদের তেলের বেঁধে দেয়া দাম মানবে না রাশিয়া। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এই চুক্তির দ্রুত বিশ্লেষণ করবে এবং এর পরে প্রতিক্রিয়া জানাবে।

এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সর্তক করেছেন, তেলের মূল্য সীমা কার্যকর করা দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করবে না রাশিয়া।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ভিয়েনায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন্স মস্কোর রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানভ রাশিয়ার এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই ইউরোপকে রাশিয়ান তেল ছাড়েই বাঁচতে হবে।

শুক্রবার রাশিয়ান তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে সীমাবদ্ধ করতে সম্মত হয়েছে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি৭ এবং অস্ট্রেলিয়া। মূলত, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যয় করার জন্য রাশিয়ার আর্থিক উৎস সীমিত করে দেয়ার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নতুন দাম নিধারনের ফলে জোটগুলোর বাইরের দেশগুলোতে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি অনুমোদন করবে জি৭ ও ইইউ। তবে বেঁধে দেয়া মূল্যের বেশিতে তেল কেনা হলে তা পরিবহনের অনুমতি পারবে না শিপিং কোম্পানিগুলো এবং যেসব জাহাজ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পরিবহন করবে, তাদের ক্ষেত্রে বিমা প্রযোজ্য হবে না।

শুক্রবারও রাশিয়ান ইউরাল অশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৬৭ ডলারে বিক্রি হয়েছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিকে উপকৃত করবে, বিশেষত যারা উচ্চ জ্বালানি এবং খাদ্য মূল্যের কারণে ক্ষতির শিকার হয়েছে।

ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়ার অর্থনীতি ইতিমধ্যেই সংকুচিত হওয়ার সাথে সাথে এবং এর বাজেট ক্রমবর্ধমানভাবে প্রসারিত হওয়ায়, পুতিনের রাজস্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্সে কেটে যাবে।

আরও পড়ুন, তেলের মূল্য নির্ধারণ একটি বিপজ্জনক প্রচেষ্টা: রাশিয়া

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার দূতাবাস টেলিগ্রাম বার্তায় পশ্চিমাদের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। এই ধরনের পদক্ষেপ মুক্ত বাজারের নীতিগুলোর পুনর্বিন্যাস বলেও অভিহিত করেছে দূতাবাস।

রাশিয়ার দূতাবাসের দাবি, মূল্য সীমা নির্ধারণের ফলে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং কাঁচামালের ভোক্তাদের জন্য উচ্চ খরচ আরোপ করবে। কিন্তু রাশিয়ান তেলের চাহিদা অব্যাহত থাকবে বলেও দাবি করা হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত