পেনশন নীতি সংস্কারের প্রতিবাদে ফ্রান্সজুড়ে ধর্মঘট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪২
চাকরিতে অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ তে উন্নীত করার সরকারী পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ট্রেন, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে জড়িত ফরাসি কর্মীরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। যা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জন্য একটি বড় পরীক্ষা, যিনি এই পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন চালক, শিক্ষক এবং শোধনাগারের শ্রমিকরা তাদের কর্মক্ষেত্র ছেড়ে ধর্মঘট শুরু করেছে। ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে, ফ্রান্স ইন্টার রেডিও, বাস চালক ও সরকারি কর্মচারীরাও। যার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটির ট্রেন পরিষেবাসহ বিভিন্ন খাত।
এসএনসিএফ রেল অপারেটর বলেন, হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন চলছে, যেখানে খুব কম লোকাল বা আঞ্চলিক ট্রেন চলছে। প্যারিসের বেশিরভাগ মেট্রো স্টেশন বন্ধ ছিল এবং ট্র্যাফিক গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছিল।
ফ্রান্সের শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে দেয়া এবং পে-ইন পিরিয়ড বাড়ানোর ফলে বার্ষিক পেনশন অবদানে অতিরিক্ত ১৭.৭ বিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় হবে। যদিও পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা সংসদে পাশ হতে হবে, যেখানে ম্যাক্রোঁ তার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন কিন্তু রক্ষণশীলদের সমর্থনে এটি পাস করার আশা করছেন।
শ্রম মন্ত্রী অলিভিয়ার ডুসপ্ট দাবি করেছেন, এই সংস্কারটি প্রয়োজনীয় এবং ন্যায্য। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এটি মানতে রাজি হননি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বেতন এবং পেনশন যা অবশ্যই বৃদ্ধি করা উচিত, অবসরের বয়স নয়। কর্মী ইউনিয়নগুলোর যুক্তি, পেনশন ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার অন্যান্য উপায় রয়েছে যেমন অতি-ধনী ব্যক্তিদের উপর কর আরোপ করা বা নিয়োগকর্তাদের অবদান বা সচ্ছল পেনশনভোগীদের অবদান।
ফ্রান্সের বৃহত্তম ইউনিয়ন সিএফডিটির প্রধান লরেন্ট বার্গার বলেছেন, আমাদের বিক্ষোভে যোগদানের জন্য প্রচুর লোকের প্রয়োজন। মানুষ এই সংস্কারের বিরুদ্ধে আমাদের এটা দেখাতে হবে।
ইউনিয়ন নেতারা, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরও ধর্মঘট ও বিক্ষোভের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর