ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরানের সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার নেপথ্যে ইসরায়েল: যুক্তরাষ্ট্র

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:০০  
আপডেট :
 ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৩

ইরানের সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার নেপথ্যে ইসরায়েল: যুক্তরাষ্ট্র
ইরানে সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইসফাহানে একটি সামরিক অস্ত্র কারখানায় শনিবার রাতে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা হয়। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে সে সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য জানা যায়নি এবং এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এই ড্রোন হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

রোববার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চার-পাঁচটি ড্রোন মিলে একসঙ্গে হামলা চালাচ্ছিল। একের পর এক বিস্ফোরক ফেলা হচ্ছিল ড্রোনের মাধ্যমে। এরপরই ইরানের বিমানবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করা হয়। গুলি করে নামানো হয় তিনটি ড্রোন। সেগুলোর ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কারা এই হামলা চালিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা এবং হামলার সাথে পরিচিত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ড্রোন হামলার পেছনে ইসরায়েল ছিল। যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এ হামলায় ইসরায়েল জড়িত ছিল বলে মনে হচ্ছে। তবে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল কিনা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি মার্কিন কর্মকর্তারা।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সিনিয়র সহকারী মাইখাইলো পোদোলিয়াক ঘটনাটিকে সরাসরি যুদ্ধের সাথে যুক্ত করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, ইরানে বিস্ফোরক রাত, সতর্ক করা হয়েছিলো কি?

ইউক্রেনের এমন মন্তব্যের জন্য সোমবার তেহরানে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান।

প্রসঙ্গত, ইরানকে ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলার জন্য রাশিয়াকে শত শত ড্রোন সরবরাহ করার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ড্রোন হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে সমালোচনা করেছেন এবং দেশের উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন।

অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের শহর তাবরিজ়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে থাকা একটি তৈল শোধনাগারেও আগুন লাগে। প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তৈল শোধনাগারের বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। দুটি ঘটনা সম্পর্কিত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ছায়াযুদ্ধ চলছে। প্রায় সময়ই ইরানের সেনাবাহিনী ও পরমাণু কেন্দ্রগুলোর উপরে হামলা চালানো হয়। গত বছরও তেহরানে হামলা চলে। এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয় এবং আরেক কর্মী আহত হন। ২০২১ সালেও ইরানের নাতানাজ পরমাণু কেন্দ্রে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করা হয়েছিল। যদিও ইসরায়েল কোনও হামলারই দায় স্বীকার করেনি।

সূত্র: আলজাজিরা

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত