ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

চীনের সিচুয়ানে যতো ইচ্ছা সন্তান জন্ম দেয়ার অনুমতি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:০০  
আপডেট :
 ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৭

চীনের সিচুয়ানে যতো  ইচ্ছা সন্তান জন্ম দেয়ার অনুমতি
ছবি - সংগৃহীত

চীনের সিচুয়ান প্রদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ বাতিল করেছে সরকার। বলা হয়েছে, এখন থেকে যতো ইচ্ছা সন্তান জন্ম দিতে পারবেন দম্পতিরা।

সোমবার সিচুয়ানের স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাদেশিক সরকারের তালিকায় যে কেউ জন্মনিবন্ধন করাতে পারবেন। আগে বিবাহিত নারী-পুরুষ সর্বোচ্চ দুটি সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে পারতেন। সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, এ নিয়ম আগামী পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে।

চীনের ৬০ বছরের ইতিহাসে গত বছর জনসংখ্যা কমতির দিকে গেছে। কয়েক দশক ধরে দেশটিতে এক সন্তান নীতি চলে আসছিল। ২০২১ সালে বিবাহিত দম্পতির জন্য তিন সন্তান পর্যন্ত নেয়ার অনুমতি দেয় চীন সরকার।

চীনের জন্ম নীতিতে অবশ্য অবিবাহিত নারীদের সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ নেই। তবে কোনো নারী যখন জন্মপূর্বকালীন সরকারি সেবা, মাতৃত্বকালীন ছুটির বেতনের সুবিধা নিতে যান তখন তাদের বিয়ের প্রমাণ দেখাতে হয়।

এছাড়া যেসব নারী বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দিতে চান তাদের ‘হুকোও’ নামের একটি সেবা পাওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা গুণতে হয়। এই হুকোওর মাধ্যমে শিশুরা শিক্ষা ও সামাজিক সেবা পেয়ে থাকে।

১৯৭৯ সালে দেশটিতে গ্রহণ করা হয় ‘এক সন্তান নীতি’। আইন লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা গোনার পাশাপাশি হারাতে হতো চাকরিও। ২০১৬ সালে বিতর্কিত নীতিমালা পরিহার করে সরকার। তবুও সাম্প্রতিক আদমশুমারিতে উঠে আসে, ছয় দশকের মধ্যে ২০২২ সালে দেশটির জনসংখ্যা কমেছে সাড়ে ৮ লাখ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দীর্ঘমেয়াদে ২০৫০ সাল নাগাদ চীনে জনসংখ্যা কমবে অন্তত ১১ কোটি।

জনসংখ্যার হার কমার কারণে হ্রাস পাবে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা। এরফলে কমবে জনশক্তি এবং রাজস্ব আয়। বিপরীতে বাড়বে সমাজকল্যাণ এবং স্বাস্থ্য ব্যয়। আর এসব বিষয় মাথায় রেখেই সন্তান নীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে সিচুয়ান প্রদেশের সরকার।

সূত্র-বিবিসি- দ্য গার্ডিয়ান

বাংলাদেশ জার্নাল/সামি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত